ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইলিয়াস হোসেন নামে ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অর্থদণ্ডের টাকা ভিকটিমকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মোঃ মশিউর রহমান খান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইলিয়াস বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার আমতলী গ্রামের আবু সালেহর ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়,ওই ছাত্রী বামনা একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন ইলিয়াস। স্কুলছাত্রী তার বাবা মায়ের কাছে বিষয়টি বলে দেয়। স্কুলছাত্রীর বাবা মা ইলিয়াস ও তার বাবার কাছে অভিযোগ দেয়। এতে ইলিয়াস আরও ক্ষিপ্ত হন। স্থানীয় সালিশ বৈঠকে ইলিয়াস দোষী সাব্যস্ত হয়। এ সব কারণে ইলিয়াস প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে।
২০১৯ সালের ২৬ জুলাই বাদীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ইলিয়াস দুপুর ১টার দিকে ঘরে ঢুকে খুনের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে স্কুলছাত্রীকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হত্যার হুমকি দেয়। ধর্ষণে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।পরে বিষয়টি জানতে পেরে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।
এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ূন কবির ২০২০ খ্রিঃ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আসামি ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাদী বলেন, ইলিয়াস আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অন্তঃসত্ত্বা হলেও ইলিয়াস আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষায় আমার গর্ভের সন্তান ইলিয়াস হোসেনের বলে প্রমাণিত হয়। তারপরও ইলিয়াস আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি।পরে সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। আজকের এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট ও ন্যায় বিচার পেয়েছি।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয় এটাই তার প্রমান করে।
রায় কার্যকরের পর আসামি বলেন,এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।