স্বতন্ত্র হয়ে ভোটে আওয়ামী লীগের শত শত নেতা
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিদ্রোহী প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সমুন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু। এ ছাড়া, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মঈনউদ্দিন মঈন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফিরোজুর রহমান ওলিও ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল এবং বিদ্রোহী হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়া-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আকাম সরওয়ার জাহান বাদশা , কুষ্টিয়া-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কুষ্টিয়া-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু, কুষ্টিয়া-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী এবং কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হাসানুল হক ইনুর আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম। এই আসনে বিদ্রোহী হিসেব মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সালাউদ্দিন মাহামুদ জাহিদ।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী কন্ঠশিল্পি মমতাজ বেগম। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের কোষ্যধক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহামেদ টুলু, সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল, সিংগাইর উপজেলার চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান এমপি মো. শাহাবুদ্দিন। মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমদ সলমান মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রার্থী আওয়ামী লীগের জিল্লুর রহমান। স্বতন্ত্র হিসেবে জমা দিয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ রহিম।
নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নাটোর -৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজলো পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নাটোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হকের স্ত্রী জাহানার বেগম, সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবষেণা সম্পাদক আসফি আব্দুল্লাহ শোভন, গুরুদাসপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহদিুল ইসলাম এবং সুজন আহম্মেদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নীলফামারী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার এবং বিদ্রোহী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল আলম বাবুল ও ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইমরান কবীর চৌধুরী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। এই আসনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা, জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব মো. রোকনুজ্জামান জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক ও হুকুম আলী খান।
নীলফামারী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে জাকীর হোসেন বাবুল এবং বিদ্রোহী হিসেবে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন এবং সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রনজিত সরকার এবং বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এছাড়া মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা এবং ড. মো. সামসুল হক চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক এবং বিদ্রোহী হিসেবে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৫ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক এবং বিদ্রোহী হিসেবে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগের মাজহারুল ইসলাম সুজন এবং বিদ্রোহী আলী আসলাম জুয়েল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।কুমিল্লা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ।
নেত্রকোনা-২ আসনে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু খান এবং স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক উপমন্ত্রী আরফি খান জয়, সুব্রুত চন্দ্র সরকার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও মনজুর কাদের কৌরাইশী এবং মো. আব্দুল মতিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নেত্রকোনা -৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান এবং স্বতন্ত্র হিসেবে শফি আহমদ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবকে সংসদ সদস্য ইঞ্জনিয়িার শেখ মুজিবুর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম মুজিবুর রহমান মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু এবং স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগরে সহসভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং দলীয় প্রার্থীর ভাই এনছান বাহার বুলবুল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আতাউল হক দোলন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের উপদষ্টো মাকসুদা খানম মেধা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নরসিংদী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তার স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসী ইসলাম।
নরসিংদী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম খান বীরু।
বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দিক থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তবে বর্তমান মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফ্রি স্টাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে, তবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’