আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ মুন্সি হাসপাতালে সাকিব আল হাসান

আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ মুন্সি হাসপাতালে সাকিব আল হাসান

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেছেন, এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপ নিয়ে। বাকীটা পরে দেখা যাবে। শোকের মাস উপলক্ষ্যে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী এলাকায় আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ মুন্সি হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার  বেলা পৌণে ১১টার দিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর উদ্বোধন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি (সাকিব)। 

তিনি আরও বলেন, বরিশালবাসীসহ বাংলাদেশের সবাই আমাদের খুব সাপোর্ট করে। আগামিতে বরিশালবাসী আরও বেশী সাপোর্ট করবে। সামনে বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ আছে। সেখানেও তারা তাদের সাপোর্ট অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশ টিম ভালো করবে।  সাকিব আল হাসান বলেন, তৃনমূলের মানুষের সঙ্গে সেভাবে মেশার সুযোগ হয় না। একজন লন্ডন প্রবাসীর আমন্ত্রণে বরিশালের গৌরনদীতে এসে একটি মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে ভাল লেগেছে। বরিশালে খুব বেশী আসা হয় না। যেহেতু এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না, ঘরোয়া ক্রিকেটও সেভাবে খেলা হয় না, স্বাভাবিকভাবেই আসার সম্ভাবনাও খুব কম থাকে। এভাবে আসতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। এর আগে তিনি আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ মুন্সি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা লন্ডন প্রবাসী ব্যরিস্টার মো. মনির হোসেন, অভিনেতা নিরব, আন্তজার্তিক মেকাপ আর্টিষ্ট সেলিনা মনিরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বোধন শেষে তিনি উপস্থিত শুভাকাঙ্খিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।এ সময় প্রিয় ক্রিকেটারকে এক নজর স্বচোখে দেখার জন্য হাসপাতাল চত্বরে প্রায় ২ হাজার সাকিব ভক্ত ভিড় করেন।

এসময় হাসপাতালের দোতলা থেকে হাত নেড়ে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানান। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদানের মতো কর্মসূচীর আয়োজন করায় সংশ্লিস্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি। দেশব্যাপী এ ধরনের কার্যক্রম আরও আয়োজন করতে পারলে দেশের অসহায়-দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।  এর আগে সকাল ১০টায় বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যায়ল মাঠে অবতরন করেন ক্রিকেট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এ খবর আগে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয় মাঠসহ তার চলাচলের পথে হাজারো শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সাকিবকে সরাসরি এক নজর দেখতে ভিড় করেন। ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। হেলিকপ্টার থেকে নেমে সড়ক পথে সাকিবকে ৩ কিলোমিটার দূরে টরকী বন্দর সংলগ্ন সুন্দরদী এলাকায় আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ মুন্সি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্মসূচীতে অংশগ্রহন, সাংবাদিকদের সাক্ষাতকার প্রদানসহ আনুষাঙ্গিক আড়াই ঘন্টা গৌরনদী অবস্থানের পর বেলা সাড়ে ১২টায় ফের হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন তিনি। 

গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান গৌরনদীতে অবস্থানকালীন সময়ে তার চলাচলের পথসহ ওই হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। এ কারণে কোন ধরনের বিচ্ছৃংখলা হয়নি।