কালকিনিতে বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মাদারীপুর প্রতিনিধি
নিজ এলাকার বাহিরে গিয়ে অন্য এলাকায় বিবাহ ও তালাকনামা রেজিস্ট্রার করাসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার এক মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজীর বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (১৭মে) সকালে উপজেলার পৌর এলাকার ২,৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার মোঃ এনামুল হক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন ( ১,৩,৫,৭,৮) নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার আবুল বাসার বাদশার (বাদশা কাজীর) তার নির্ধারিত এলাকার বাহিরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে তিনি এবং তার সহকারী বিবাহ ও তালাকনামা রেজিস্ট্রার সম্পূর্ণ করে থাকেন। যা বিবাহরেজিস্ট্রার নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক অপরাধ। তাই এ বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তার বিরুদ্ধে বিচার দিলে তিনি একাধিক বার লিখিত অঙ্গিকারনামা দিয়েও পুনরায় তার অপকর্ম চালিয়ে যান।
তিনি তার অভিযোগে আরো বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বাদশা কাজী ও তার বালাম বই সহ কয়েক বার আমরা আটক করি। এবং সমিতির কাছে বিচার দেই। যতবারই তাকে তার অপকর্মের জন্য আটক করি, ততবারই সমিতির কাছে লিক্ষিত আকারে ক্ষমা চান। কিন্তু পরবর্তীতে আবারো তার সহকারীকে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিবাহ রেজিস্ট্রার ও তালাক সম্পাদনসহ বাল্য বিয়ের মত অপরাধ করে আসছে।
গত ২৭/১১/২০২৩ ইং তারিখে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দেয়ায় ৫৫৩ নং স্বারক কালকিনি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার ও ১৮১ নং স্বারকে তদন্ত প্রতিবেদন ১০.০৫.৫৪০০.০০৪.২৭.০৯৭-৮৯ স্বারকে কাজী আবুল বাসার বাদশাকে সতর্কীকরন পত্র পাঠানো হয়। কালকিনি থানায় কয়েকবার এবিষয়ে অভিযোগ করলে সেখানেও এ ধরনের কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু এরপরেও থাকেননি তার অপকর্ম বিভিন্ন এলাকায় এখনো বাদশা কাজী ও তার সহকারী মোদারছের অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে আমি আমার এলাকার বৈধ বিবাহ রেজিস্ট্রারের কাজ করতে পারিনা। এর ফলে আমি অর্থনৈতিক ভাবে খুব সমস্যায় পরে গেছি।
ভুক্তভোগী আরো বলেন, সে যা করে সেটা লাইসেন্স বাতিলযোগ্য অপরাধ। তাই তাকে আইনের আওতায় এনে লাইসেন্স বাতিল করা হোক।