আগৈলঝাড়ায় সরকারী পুকুর বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি

আগৈলঝাড়ায় সরকারী পুকুর বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট বাজারের সরকারী পুকুর দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও পয়সারহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার ও স্থানীয় রুবেল সিকদারের বিরুদ্ধে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সারহাট বন্দরের সরকারী পুকুর একটু একটু করে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পয়সারহাট বন্দর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার ও  স্থানীয় লাল মিয়া শিকদারের ছেলে মো. রুবেল সিকদারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তারা পুকুরের একটি অংশ দখল করে ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। 

বন্দরের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজার পরিচালনায় কোন কার্যকরী কমিটি নেই। কমিটি না থাকার সুযোগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফিরোজ শিকদার দলের প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে। তার সাথে পয়সা গ্রামের লাল মিয়া সিকদারের ছেলে স্থানীয় রুবেল সিকদারকে নিয়ে সম্প্রতি বন্দরের মধ্যে একটি পুকুর বালু ভরাট করেছে। এছাড়াও ফিরোজ সিকদার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে তিনটি ঘর উত্তোলন করে। 

স্থানীয় ছিদ্দিকুর রহমান শিকদার ও আব্দুল মজিদ শিকদার জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফিরোজ শিকদার ও তার সহযোগী মো. রুবেল সিকদার মিলে পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করে আসছে। এর পূর্বেও কিছু অংশ ভরাট করে তারা দোকান ঘর নির্মাণ করছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।  

এব্যাপারে বাকাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পয়সারহাট বন্দর কমিটির সভাপতি বিপুল দাস বলেন, হাটের পুকুর ভরাট করার সংবাদ পেয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।  

অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. ফিরোজ শিকদার বলেন, লাল মিয়া সিকদারের ছেলে মো. রুবেল সিকদারের ঘর রক্ষার জন্য আমার অজান্তে পুকুরের কিছু অংশ বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। আমি জানার পরে তাকে বাঁধা দিয়েছি। এখন বালু ভরাট বন্ধ রয়েছে। 

আরেক অভিযুক্ত মো. রুবেল সিকদারের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য দেয়া যায়নি।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। যারা ভরাট করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।