বিএনপির নৈরাজ্য ও দেশব্যাপী হরতালের প্রতিবাদে আগৈলঝাড়ায় আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ ইসমাইল হোসেন
ডেট লাইন ২৮অক্টোবর। ঢাকায় বিএনপি’র ঢাকার সমাবেশে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচাপতির বাসভবনে হামলা, সাংবাদিক নির্যাতন, পুলিশ হাসপাতাল, এ্যাম্বুলেন্স, মোটরযানে অগ্নি সংযোগসহ দেশব্যাপি নৈরাজ্য সৃষ্টি ও বিএনপির’র ডাকা ২৯ তারিখ হরতালের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ঘোষিত সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অংশ হিসেবে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল এগারোটায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে দলীয় নেতা কর্মীরা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের মিছিলে যোগ দেন। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈর সভাপতিত্বে সভায় শান্তি সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন।বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন- নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার নামে বিএনপি’র সমাবেশ থেকে ঢাকাকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে দেশ ও বিদেশে পরিচিত করেছে। বিএনপি সমাবেশের নামে পিটিয়ে পুলিশ হত্যার পরে তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো দেখে মানুষ আজ স্তম্ভিত! এ কোন নিষ্ঠুর বর্বরতা? পুলিশ হাসাতাল, রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের মোটরযানসহ পাবলিক পরিবহনের অগ্নি সংযোগ, সাংবাদিক পিটিয়ে আহত করা সর্বোপরি প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমান করেছে যে তারা জঙ্গি উত্থানের দল। তাদের মুখোশ দেশ ও বিদেশে উন্মেচিত হয়েছে। আন্দোলনে গণমানুষের সারা না পেয়ে ২৯ তারিখ হরতাল ডেকেছে। হরতালের নামে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসীরা। জামাত-বিএনপি’র অগ্নি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুণরায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনারও আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ থেকে নিহত পুলিশ সদস্যর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে নির্বাচনে বিজয় লাভ না করা পর্যন্ত রাজ পথে থাকারও ঘোশণা দেন নেতারা।
এদিকে বিএনপির ডাকা হরতাল আগৈলঝাড়ায় কোন প্রখাব বিস্তার করেনি। জেলা ও রাজধানীর সাথে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। হাট বাজারে দোকানপাট খোলা ছিল নিত্য দিনে মতই।