কলাপাড়ায় খাল খনন করলে উপকৃত হবে দেড় হাজার একর জমি। বাচঁবে কৃষক
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের খুদুরী ও ভাঙ্গর খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এরফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার একর ফসলি জমি। এ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পরেছে ওই ইউনিয়নের কৃষকরা। ওই খান দিয়ে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনসহ শুকনো মৌসুমে ক্ষেতে পানি সরবরাহ করে থাকে। দীর্ঘবছর ধরে খননের অভাবে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে খালটির। বিভিন্ন জায়গায় সংকোচিত ও ভরাট হয়ে গেছে। আবার ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে পুকুর হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রায় ৪ কি:মি লম্বা ও ৪০ ফুট প্রশস্থ ওই খালটি খনন করলে এক থেকে দেড় হাজার একর জমির কৃষকরা উপকৃত হবে বলে দাবী জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা যায়,উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের লালুয়া ও গোলবুনিয়া মৌজার খুদুরী ও ভাঙ্গর খালটি দীর্ঘবছর ধরে অবহেলিত পরে আছে। বিভিন্ন জায়গা দখল করে রেখেছে ভূমিদস্যুরা। যার যার বাড়ির সামনে দখল করে পুকুর হিসেবে তা ব্যবহার করছে। এতে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার একর জমির কৃষকরা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের অভাবে তলিয়ে যায় ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্থ হয় স্থানীয় কৃষক। নষ্ট হয় কৃষি ফসল। অতিদ্রুত খালটি খনন করার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় একাধিক কৃষক বলেন, খালটি খননের অভাবে কৃষি পন্য উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে মাত্র দুই তিন ঘন্টা বৃষ্টি হলেই সমস্ত বিল তলিয়ে যায়। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরতে হয়। অথচ নদীর সুইজ মুখ পর্যন্ত খালটি খনন করে দিলে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার একর জমি এ ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ.আর.এম সাইফুল্লাহ বলেন, খুদুরী ও ভাঙ্গর খালটিসহ উপজেলার অনেকগুলো খাল খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তারা খুব শিঘ্রই এ খালগুলোর খনন কাজ শুরু করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, খুব শিঘ্রই খালগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে খালগুলো খনন ও পুন: উদ্ধারের বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহায়তা কামনা করেন।