এবার ৭ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ
মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ মঙ্গলবার নতুন করে চার দেশের একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ইরানের এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চালান ও লেনদেনে সহায়তা করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণের প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের টেররিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরান যেভাবে ড্রোন নির্মাণের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে রাশিয়া, তাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশ এবং অন্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীরা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। আর ইরানের এ ধরনের ড্রোন তৈরির তৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ইরানের কাছে ড্রোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ বিক্রি ও সরবরাহের অভিযোগে চীনভিত্তিক পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান বন্দিবিনিময় করেছে। ওই চুক্তিরর আওতায় পাঁচজন করে বন্দিকে মুক্তি দেয় ওয়াশিংটন ও তেহরান।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করা ইরানের ৬০০ কোটি ডলার ছাড় দেয় মার্কিন প্রশাসন। তবে ওই বন্দিবিনিময় হলেও ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা।