বাংলাদেশ কি তালেবান রাষ্ট্রের পথে?

বাংলাদেশ কি তালেবান রাষ্ট্রের পথে?

বাংলাদেশ আজ আর স্বাধীন নয়। আওয়ামী লীগের পতনের পর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, সেটি পূরণ করছে কুরআনের অপব্যাখ্যাকারী ইসলামী চরমপন্থীরা। রাজপথ আজ হেফাজত, জামায়াত আর সালাফি গোষ্ঠীর দখলে। মাদ্রাসা গুলোতে নতুন করে তালেবানি শাসনের শিক্ষা চালু হয়েছে।

কে কোথায় কী বলবে, কী পরবে, কী লিখবে — সেটাও এখন নির্ধারণ করছে দাড়িওয়ালা মৌলবাদী নেতারা। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বাড়ি ঘেরাও, হত্যা, বা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ কি তাহলে তালেবান রাষ্ট্রের দিকে হাঁটছে?

আজ যারা ক্ষমতার খেলায় ধর্মের অপব্যবহার করছে — তারা মুসলিম না, তারা ইসলামের শত্রু। ইসলামকে ব্যবহার করে তারা মানুষ হত্যা করছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেশছাড়া করছে, ভয় দেখিয়ে এক জাতি এক ধর্মের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এদের যদি এখনই থামানো না যায় — বাংলাদেশ অচিরেই দ্বিতীয় আফগানিস্তান হয়ে যাবে।

রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার কি শুধুই দর্শক? প্রশাসন কি মৌলবাদীদের সহচর? নাকি দেশের সংবিধান আজ একটা হাস্যকর কাগজের টুকরা মাত্র?

আমি এই লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সতর্ক করতে চাই। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি তালেবানি শাসনের জন্য না। আমরা অস্ত্র ধরেছি মোল্লাতন্ত্রের জন্য না।

বাংলাদেশের প্রতিটি ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিককে এখনই জেগে উঠতে হবে। নয়তো আপনার ঘরের দরজায়ও খুব শীঘ্রই তালেবানি আইন কড়া নাড়বে।

সুমিয়া শিমু

গৌরনদী, বরিশাল (লন্ডন প্রবাসী)