হিজলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র তান্ডবে ফসলের ব্যপক ক্ষতি

হিজলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র তান্ডবে ফসলের ব্যপক ক্ষতি

মোঃ আলহাজ হিজলা থেকেঃ  বরিশালের হিজলা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র তান্ডবে ভারী বর্ষণ ও থেমে থেমে দমকা ঝোড়ো বাতাসে গাছপালা বিধস্ত ও গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। ভারী বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে শীতকালীন সবজি ও আমন ধান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে ধানের ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র তান্ডবে ঘরের উপরে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুটি ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন জায়গার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শীতকালীন ও আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠা দায়।কৃষক মোঃ হারুন সরদার জানান, এ বছর তিনি সাত একর জমিতে আমন ধান এবং চার একর জমিতে খেসারি চাষাবাদ করেছিলেন। দমকা ও ঝোড়ো বাতাসে আমন ধানের গাছ হেলিয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। ধানগাছ হেলিয়ে পড়ায় ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাতে বিশালাকৃতির একটি রেইনট্রি গাছ উপড়ে পড়ে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উপরে।

এতে গুরুতর আহত হন গুয়াবাড়িয়া পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা মোসাঃ মুক্তা বেগম ও তার চারবছরের ছেলে ফারহাব। উপজেলা কৃষি অফিসার আহসানুল হাবিব আল আজাদ জনি জানান, হিজলা উপজেলায় এ বছর মোট ১৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।কি পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের জন্য জরিপ চলছে তবে ঘূর্ণিঝড়ের ঝোড়ো বাতাসে এখন আমন ধানের ১০% ক্ষতি হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন,ঘূর্ণিঝড়ে অনেক জায়গায় গাছপালা ভেঙ্গে গেছে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কিন্তু এ পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের জন্য কাজ করছি।