গৌরনদীতে বীমা কোম্পানির ফাঁদে প্রতারিত সাধারন মানুষ

গৌরনদীতে বীমা কোম্পানির ফাঁদে প্রতারিত সাধারন মানুষ

সৈয়দ নকিবুল হক, গৌরনদী

গৌরনদী উপজেলায় পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স সহ বিভিন্য বীমা কোম্পানির ফাঁদে পরে অনেকেই নিশ্ব, গ্রাহকের টাকায় কর্মকর্তারা বিলাশ বহুল গাড়ি বাড়ি ও আরাম আয়েশে চলে জীবন জাপন।

ভুক্তভোগি কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগে জানা যায়, পপুলার লাইফ ইন্সি্যুরেন্স সহ বেশ কিছু বীমা কোম্পানীর গ্রাহকরা

১০থেকে ১২বছর বীমার প্রিমিয়ামের টাকা চালিয়ে বীমার মেয়াদোত্তীর্ন হলেও সময়ে মত পাচ্ছেনা তাদের জমা কৃত অর্থ।

গ্রাহকদের সাথে কথা থাকা সত্যেও মেয়াদ পূর্ণ হয়ে ৬মাস ১বছরেও টাকা ফেরৎ পাচ্ছেন না ভুক্তভোগি গ্রাহকরা

মেয়াদ শেষে বীমার মূল দলিল ও রশিদ জমা দিয়ে মাসের পর মাস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও সঠিক কোনও সমাধান পাওয়া যায় না।

ভুক্তভোগিরা আরও জানান, বীমার মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পরে জমাকৃত টাকা থেকে এফডিআর না করলে টাকা ফেরত না দেয়ার হুমকিতেও পরতে হয় গ্রাহকদের।

পপুলার লাইফ ইন্সি্যুরেন্স কোম্পানীতে বীমা করে বীমার মেয়াদোত্তীর্ন হলেও পাওনা অর্থ পেতে প্রতিনিয়ত হয়রানি শ্বীকার হয়েছেন বলে জানান,

মো.সেলিম সরদার, মো. জালাল হাওলাদার, সেতারা বেগম  মরিয়ম আক্তার-সহ অনেকেই। এ ছাড়াও দুই বা চারটা অথবা ছয়টি প্রিমিয়াম জমা দিয়ে অর্থাভাবে পরবর্তিতে প্রিমিয়াম জমা না দিতে পারা গ্রামের গরীব,

অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের টাকা ফেরত পেতে বীমা কোম্পানির অফিসে ঘুরতে হয় ১০থেকে ১২বছর।

এ ভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বীমা কোম্পানী ও কর্মকর্তারা। গ্রাম পর্যায়ের বীমার এজেন্ট ও কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে,

দীর্ঘ দিন গ্রাহকের দার গোরায় ঘুরে ঘুরে কয়েকজনের বীমা করিয়ে কিছু কমিশন পেলেও পরবর্তিতে অন্য কোনও কর্মস্থলে যোগ দিলে

গ্রাহকের থেকে পরবর্তি প্রিমিয়িামের কমিশনের টাকা এজেন্ট বা কর্মীদের না দিয়ে কর্মকর্তাদের পকেটে চলে যায়।

এভাবে হাজারো অনিয়ম আর দুর্নীতির আখরায় পরিনত হয়েছে বীমা কোম্পানি গুলো। পপুলার লাইফ ইন্স্য্যুরেন্স কোম্পানী গৌরনদীর একাংশের ইনচার্জ মো. মোকলেচুর রহমান বলেন,

কোম্পানির কেন্দ্রিয় পর্যায় কিছু সমস্যা থাকায় গ্রাহকদের সাথে আমাদের তৃর্নমূলে কিছু সমস্যা হচ্ছে, তবে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান।

ভুক্তভোগি অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের দাবী, বীমা কোম্পানি ও কর্মকর্তাদের প্রতারনা থেকে সহজে যাতে তারা

তাদের কস্টে অর্জিত টাকা সময় মতো ফেরত পেতে পারেন তাই প্রশাসন ও উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।