বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন বিদেশী নিষিদ্ধ মদ ও মাদকসহ আসামি গ্রেফতার
শহিদুল ইসলাম :
এসআই (নি:) আনন্দ চন্দ্র সঙ্গীয় অফিসার এএসআই (নি:) নেতৃত্বে ছায়েদুর রহমান, কং ৯২৪ রুবেল মিয়া, কং ৮৮৮ কাজী গোলাম মোস্তফা সর্ব থানা-বিশ্বম্ভরপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ এবং গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সুলতান মিয়া (৫৫), পিতা-মৃত মইন উদ্দিন শেখ, সাং-স্বরুপগঞ্জ দক্ষিন, থানা-বিশ্বম্ভরপুর, ২। মো: হাবিবুল ইসলাম (৩৭), পিতা-মো: আব্দুল ছাদেক, সাং-দক্ষিন মুকসেদপুর, থানা-তাহিরপুর, উভয় জেলা-সুনামগঞ্জ সহ উদ্ধারকৃত জব্দকৃত নিম্ন বর্ণিত আলামত সহ থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমি বিশ্বম্ভরপুর থানার সাধারণ ডায়রী নং-৬৪০ তারিখ: ১৭/১১/২০২৩খ্রি. মূলে সঙ্গীয় র্ফোস সহ বিশ্বম্ভরপুর থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ওয়ারন্টে তামলি অভিযান ডিউটি করাকালীন সময় বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন ০৩নং ধনপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ধনপুর বাজারে অবস্থানকালে অদ্য ১৭/১১/২০২৩খ্রি. ১৫.১০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জানিতে পারি যে, বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন ০৩নং ধনপুর ইউ/পির স্বরুপগঞ্জ দক্ষিন সাকিনস্থ ধৃত আসামী মো: সুলতান মিয়ার বসতঘরের ভিতর মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয় করিবার জন্য অবস্থান করিতেছে। বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ মহোদয়কে অবহিত করিয়া উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ১৭/১১/২০২৩খ্রি. ১৫.৩০ ঘটিকার সময় বর্ণিত ঘটনাস্থলে পৌছাইলে পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া ০২ (দুই) জন লোক সাদা প্লাস্টিকের বস্তা সহ দৌড়াইয়া পালাইয়া যাওয়ার সময় আমি সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আসামী ১। সুলতান মিয়া (৫৫), পিতা-মৃত মইন উদ্দিন শেখ, সাং-সরুপগঞ্জ দক্ষিন, থানা-বিশ্বম্ভরপুর, ২। মো: হাবিবুল ইসলাম (৩৭), পিতা-মো: আব্দুল ছাদেক, সাং-দক্ষিন মুকসেদপুর, থানা-তাহিরপুর, উভয় জেলা-সুনামগঞ্জদ্বয়কে ধৃত করি এবং তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তার দৌঁড়াইয়া পালানোর কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই। তখন উপস্থিত সাক্ষী ১। মো: লিটন মিয়া (৪৫), পিতা-মৃত লাল মিয়া, মোবা: ০১৭৪২-৪৩৪৭০৫, ২। মো: হেলাল মিয়া (৪০), পিতা-মো: মৃত আব্দুল খালেক, মোবা: ০১৩০৪-৪৭৪৩৬০, উভয় সাং- সাং-স্বরুপগঞ্জ দক্ষিন, থানা-বিশ্বম্ভরপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ, কং/৯২৪ রুবেল মিয়া, থানা-বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জদের উপস্থিতিতে ধৃত আসামী ১। সুলতান মিয়া এর কাঁধে থাকা বস্তাটি তল্লাশী করিয়া (১) Officer’s Choice লেখা ১১ টি প্লাস্টিকে বোতল যার প্রতিটি বোতলের লেভেলে Officer's Choice, PRESTIGE WHISKY MADE IN INDIA সহ অন্যান্য লেখা আছে। প্রতিটি বোতলের কর্ক বোতলের সাথে সংযুক্ত (বন্ধ) আছে, প্রতিটি বোতলে ৭৫০ ML করে (১১X৭৫০)=বা ৮.২৫০লি: মূল্য অনুমান (১১*১২০০)=১৩,২০০/-টাকা। (২) AC BLACK বিদেশী মদ ০৮ টি কর্ক যুক্ত কাচের বোতল যাহার প্রতিটির গায়ের লেভেলে AC BLACK PURE GRINE DELUXE WHISKY, PRODUCE OF INDIA লেখা সহ অন্যান্য লেখা আছে। প্রতিটি বোতলে ৩৭৫ ML করে সর্বমোট (৮ঢ৩৭৫)=৩,০০০ML বা ০৩লি: লিটার মদ। প্রতিটি মদের বোতলের মূল্য অনুমান ৭০০ টাকা করে (৮X৭০০)=৫৬০০ টাকা, সর্ব মোট (১১+৮)=১৯ বোতল, (৮.২৫০+৩.০০)=১১.২৫০লি: সর্ব মোট মূল্য (১৩৬০০+৫৬০০)=১৮,৮০০) টাকা পাইয়া উদ্ধার করত উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ১৭/১১/২০২৩খ্রি. তারিখ ১৫.৩৫ ঘটিকার সময় পর্যাপ্ত দিনের আলোতে ঘটনাস্থলে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করি এবং জব্দ তালিকায় সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ পূর্বক নিজে স্বাক্ষর করি। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করা সহ উদ্ধারকৃত মদ ভারতীয় সীমান্ত হইতে শুল্ক/কর ফাঁকি দয়িা বাংলাদশেে আনয়িা বিক্রয়ের জন্য নিজ হেফাজতে রাখার কথা স্বীকার করে এবং নিজ হেফাজতে ভারতীয় মদ রাখার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাইতে পারে নাই। ধৃত আসামীদ্বয় একে অপরের সহযোগীতায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ভারতীয় তৈরি মদ চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক/কর ফাঁকি দিয়া ভারতীয় সীমান্ত হইতে বাংলাদেশে আনিয়া বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখিয়া The Special Powers Act, 1974 U/S 25-B/25-D ধারার অপরাধ করিয়াছে। বিজ্ঞপ্তি