সব পক্ষের সাথে আলোচনায় প্রস্তত মস্কো: পুতিন
ইউক্রেন সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের সাথে আলোচনায় বসতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিয়েভ এবং এর পশ্চিমা মিত্রদের কারণেই আলোচনা ফলপ্রসু হচ্ছে না, এমন অভিযোগও করেন তিনি। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে কিয়েভ। প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকির শঙ্কা, এবার আরও বড় পরিসরে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী। খবর সিএনবিসির।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু পর থেকেই বিবদমান পক্ষগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। কিয়েভ-মস্কো মুখোমুখি বসলেও নানা শর্তের কারণে ফলপ্রসু হয়নি আলোচনা। এবার খোদ রুশ প্রেসিডেন্টই জানালেন, যুদ্ধ বন্ধে কিয়েভের সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত মস্কো।
এ প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। রাশিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার সবচেয়ে কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকদের রক্ষায় আমি যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারি। সে লক্ষ্যে যুদ্ধ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সবগুলোপক্ষের সাথে আলোচনায়ও প্রস্তুত আছি। কিন্তু, প্রতিবার আমাদের এ প্রস্তাবকে উপেক্ষা করেছে বিরোধীপক্ষ।
রুশ প্রেসিডেন্টের এমন প্রস্তাবের পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখেলো পডোলেক জানান, শত শত বেসামরিক নারী-শিশু হত্যার দায় এড়াতেই আলোচনার কথা বলছে রাশিয়া। এদিকে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আশংকা, আরও বড় হামলার পরিকল্পনা করছেন পুতিন।
রুশ হামলার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া এ যুদ্ধে পরাজিত হলে সবকিছু হারাবে। তাই জেতার জন্য মরিয়া হয়েছে উঠেছে মস্কো। আমাদের আশঙ্কা যেকোনো সময় আরও বড় পরিসরে হামলা শুরু করতে পারে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের সামনে আরও কঠিন সময় আসছে। রাশিয়া যেভাবেই হোক আমাদের অন্ধকার যুগ পাঠাতে চায়।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই সদ্য সমাপ্ত এক সামরিক মহড়ার পর বেলারুশকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে রাশিয়া। ফলে, ক্রমেই আরও জটিল হয়ে উঠছে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি।