শিশুকে অপহরণ করে হত্যার পর মাটিচাপা দেয় ভাড়াটিয়া

শিশুকে অপহরণ করে হত্যার পর মাটিচাপা দেয় ভাড়াটিয়া

শরীয়তপুর সদরে হৃদয় খান নিবিড় (১১) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়া। হত্যার পর ওই শিশুকে মাটিচাপা দেয় অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া সিয়াম ও তার সহোযোগীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

স্বজনদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে শিশুটিকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয় তারা।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির অদূরে নিবিড়ের মাটিচাপা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সিয়াম সরদার (২০)। তিনি পাবনা সদর থানার সিংগা বাজার এলাকার সাইফুল সরদারের ছেলে। সিয়াম ইটভাটার ট্রলিচালক। তাঁরা সপরিবারে নিবিড়দের বাসায় বাড়া থাকেন।

এ ঘটনা গ্রেপ্তারকৃত কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা হলো, শরীয়তপুর সদর উপজেলার খিলগাঁও গ্রামের জলিল গাজীর ছেলে শাকিল গাজী (১৮) এবং ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোর। 

নিহত নিবিড় সদর উপজেলার খিলগাঁও এলাকার মালেশিয়া প্রবাসী মনির খান ও নিপা আক্তার দম্পত্তির ছেলে। শরীয়তপুর জেলা শহরের শিশুকানন কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুল আলম এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

বাড়ির অদূরে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয় নিবিড়ের মরদেহ।

পুলিশ সুপার জানান, অপহরণকারীরা নিবিড়দের বাসায় চার বছর ধরে ভাড়া ছিল। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার স্কুল থেকে ফিরে খেলতে বের হয় নিবিড়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। সন্ধ্যায় মা নিপা আক্তারের মোবাইলে কল করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে হত্যা করে তারা।

বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার পরিকল্পনাকারী সিয়ামকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতো গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির অদূরে নিবিড়ের মাটিচাপা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সিয়ামের তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এসপি।

মাহবুবুল আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় আমরা হত্যাকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিদের তথ্যমতেই আমরা একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করি। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।