পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনায় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত।
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. সামসুল হককে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকেরা ১৫ দিন পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে আজ সোমবার সকাল থেকে ক্লাস ও পরীক্ষার কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আমরা আন্দোলন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি এবং আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একাডেমি কার্যক্রমে যথারীতি অংশ নিয়েছেন।
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাটি তদন্তে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষকের সঙ্গে অভিযুক্ত কর্মকর্তার অসদাচরণের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত জরুরি নোটিশে সব প্রতিনিধিকে ডিন ও কোর্স টিচারদের সঙ্গে সমন্বয় করে ক্লাস পরীক্ষা শুরু করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সামসুল হক শিক্ষক কর্মকর্তাদের কৃষি কুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজি অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক লাঞ্ছনা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে লাগাতার ক্লাস বর্জনসহ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত সামসুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।