ঘুড়ির ‘নাটাই-সুতায়’ বারবার আটকে যাচ্ছে মেট্রো
গত সাত দিনে তিনবার ঘুড়ির ‘নাটাই-সুতায়’ আটকে গেল মেট্রো রেল। প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল রেলযাত্রা। এতে বিরক্ত যাত্রীরা। ক্ষতির মুখে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের আশপাশে ঘুড়ি না ওড়াতে অনুরোধ করেও ফল পাচ্ছে না ডিএমটিসিএল।
গত সপ্তাহের রবিবার ঘুড়ির প্যাঁচে পুরোটা সময় জুড়ে একটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরদিন সোমবার এমন জায়গায় ঘুড়ি আটকে যায়, যাতে ট্রেনই চালানো যায়নি। ঘণ্টাখানেক ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে ঘুড়ি অপসারণ করা হয়।
আজ শনিবারও ছিল একই অবস্থা। সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরুর পর বিদ্যুতের তারে এসে আটকে পড়ে ঘুড়ি। আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টা থেকে একটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘুড়ি অপসারণ করা হয়। এতে প্রায় ২০ মিনিট মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
মেট্রো রেল বাস্তবায়ন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। নাম প্রকাশ না করা শর্তে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ শুরু থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সাড়ে ৯টার দিকে ঘুড়ি এসে আটকে যায়। প্রাথমিকভাবে একটি লাইনে ট্রেন চালানো হয়। পরে ২০ মিনিট বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘুড়ি অপসারণ করা হয়।’
টানা সাত দিনে তিন দিন ঘুড়ি আটকে মেট্রো রেল বন্ধ থাকার কারণে এখন প্রশ্ন উঠছে, এর সমাধান কোথায়? পরীক্ষামূলক চলাচলের সময় কি এ জাতীয় সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষের? মেট্রো সংশ্লিষ্টরা বলছে, মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। মেট্রো রেলের পুরো পথ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা সম্ভব না।
গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমটিসিএল জানায়, বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর ঘুড়ি, ফানুস, গ্যাস বেলুন ইত্যাদি আটকানোর ফলে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। সাময়িকভাবে মেট্রো রেল চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাই মেট্রো রেল লাইনের উভয় পাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসরত সবাইকে ঘুড়ি, ফানুস, গ্যাস বেলুন বা অনুরূপ বিনোদনসামগ্রী ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করে।