আগৈলঝাড়ায় ঘুষের টাকায় মিষ্টি খাওয়া হলোনা ইউএনও অফিস সহকারীর!

আগৈলঝাড়ায় ঘুষের টাকায় মিষ্টি খাওয়া হলোনা ইউএনও অফিস সহকারীর!

গ্রাম পুলিশ সদস্যদের (চৌকিদার) বেতন থেকে ইউএনও’র অফিস সহকারীর গ্রহণ করা উৎকোচের টাকা ফেরত দেয়ালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসার সাখাওয়াত হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৬ জন গ্রামপুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী সিদ্দিকুর রহমান। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার।

ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন শুন্য পদ ঝুলে থাকার পর অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে উপজেলা নির্বহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহনের পর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৬ জন গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সরকারী নিয়মনীতি অনুসরণ করে গত ১৩ অক্টোবর নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রামপুলিশ সদস্যদের প্রথম দুই মাস ১০দিনের বেতন বাবদ ৭ হাজার ৫৪৮ টাকা করে প্রদান করা হয়। গত বুধবার থেকে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বেতনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে সিদ্দিকুর রহমান প্রত্যেক গ্রামপুলিশ সদস্যর কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন।

বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন সকল গ্রামপুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সিদ্দিকুর রহমানকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে সিদ্দিকুর রহমান গ্রহন করা ওই টাকা ফেরত দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান টাকা নেওয়া কথা স্বীকার করে জানান, প্রথম বেতন থেকে মন্ত্রণালয় ও ডিসি অফিসে মিষ্টি খাওয়ার জন্য তিনি এই টাকা নিয়েছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গ্রামপুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করে মিষ্টি খাবারের প্রশ্নই উঠেনা। টাকা ফেরত দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।