আগৈলঝাড়ায় আগাম ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

আগৈলঝাড়ায় আগাম ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

বরিশাল জেলার অন্যতম শষ্য উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে পরিচিত আগৈলঝাড়া উপজেলায় আগাম ইরি-বোরো চাষে নেমেছে চাষীরা। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই শীত উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে বীজ আহরণ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের চারা (বীজ) লাগাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বর্তমান আবহাওয়ার মতো চাষের সময়ে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবছরও বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ৪শ ১০হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আগাম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩শ হেক্টর জমি। চাষকৃত জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৬শ ৯০মেট্টিক টন চাল। 

ইতোমধ্যেই ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আগাম চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। গৈলা গ্রামের কৃষক হাবুল সরদার জানান, সরকারী প্রনোদনার অংশ হিসেবে হাইব্রীড ধান বীজ পেয়ে আগাম চাষ শুরু করিছি। 

উপজেলায় মোট আবাদী জমির মধ্যে ৯ হাজার ১শ ৬০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ধান ও ২শ ৫০হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফসী) বোরো ধান আবাদ করা হবে।

এর মধ্যে সরকারী প্রনোদনার অংশ হিসেবে বোরো মৌসুম শুরুর আগেই চলতি রবি মৌসুমে ১হাজার ৬শত ৫০জন চাষিকে সরিষা, ভুট্টা, মুগ, মশুর, খেসারীসহ বিভিন্ন শষ্যের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারের পুণর্বাসন বীজ সহায়তা ও প্রনোদনার আওতায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৫হাজার ৩শ জন কৃষক পরিবারকে ২ কেজি করে হাইব্রীড ধান বীজ ও ৫শ জনকে উফসী বীজ ও সার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দোলন চন্দ্র রায় জানান, আবহাওয়া বৈরী না হলে এবং কীটপতঙ্গর আক্রমন কম হলে এবছরও ফসলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। অফিস থেকে কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে।