প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে মাদ্রাসাশিক্ষকের একি কাণ্ড!
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলগর ইউনিয়নের সৌদি আরব প্রবাসী আমির হোসেন মজুমদার তার স্ত্রীর সঙ্গে পেয়ার আহমেদ নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের পরকীয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় গ্রাম আদালতে।
পেয়ার আহমেদ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক। একই সঙ্গে তিনি বাংগড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা কমিটির সদস্য।
লালমাই উপজেলার বেলগর ইউনিয়নের সৌদি আরব প্রবাসী আমির হোসেন মজুমদার তার স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লিমার সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ এনে গত ১০ এপ্রিল গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লিমা তার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করে দুই বছর আগে লাঙ্গলকোট উপজেলা গাংডাচি গ্রামে বাপের বাড়ি চলে যায়। বারবার চেষ্টা করেও তাকে বাপের বাড়ি থেকে আনা সম্ভব হয়নি।
এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রাতে প্রভাষক পেয়ার আহমেদ মরিয়ম আক্তার লিমার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করার সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে তাদের ধরে আটক করে।
মরিয়ম আক্তার লিমা বাংগড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ মজুমদারের বড়ভাইয়ের মেয়ে এবং বর্তমান বাংগড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের শ্যালিকা।
এ ঘটনা জানাজানি হলে লিমার দূর সম্পর্কের চাচা আওয়ামী লীগের বাংগড্ডা ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি একুব মজুমদারকে নিয়ে পেয়ার আহমেদ আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেন, কিন্তু ইতোমধ্যে বিচার-সালিশের ভিডিও ফাঁস হয়ে সাংবাদিকের কাছে চলে গেছে।
জানা যায়, বাংগড্ডা বাজারে প্রভাষক পেয়ার আহমেদ মালিকানাধীন ওষুধ ফার্মেসি আছে। সেখানে নিয়মিত ওষুধ আনার জন্য দোকানে গেলে মরিয়ম আক্তার লিমার সঙ্গে পরিচয়, মাঝে মধ্যে ফোনে পেয়ার আহমেদের কথা হয়। ব্যক্তিজীবনে পেয়ার আহমেদ দুই সন্তানের জনক।
এর পর পেয়ার আহমেদ ও মরিয়ম আক্তার লিমা মাঝে মধ্যে কুমিল্লা ও ক্যান্টমেন্ট এলাকায় গিয়ে পরকীয়া শুরু করেন বলে প্রভাষক পেয়ার আহমেদের এক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি একুব মজুমদার বলেন, ঘটনা সত্য, এমন অপকর্ম অতীতেও তারা করেছে বলে জানান। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয় পেয়ার আহমেদকে প্রশ্ন করলে তিনি আর্থিক লেনদেনের প্রস্তাব দেন, প্রস্তাবে রাজি না হলে পরে মোহাম্মদ শহীদ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা দিয়ে প্রহারের হুমকি দেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। ঘটনার সত্যতা পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।