মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনের ইতি টানল জাতিসংঘ
আফ্রিকার দেশ মালিতে এক দশক ধরে চালানো শান্তিরক্ষা মিশনের ইতি টানল জাতিসংঘ। শুক্রবার (৩০ জুন) দেশটি থেকে শান্তিরক্ষী প্রত্যাহার সম্পর্কিত প্রস্তাবে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
মালির সামরিক জান্তা দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই দেশটি থেকে ১৩ হাজার শান্তিরক্ষীর শক্তিশালী বাহিনীকে অবিলম্বে চলে যেতে বলার পর জাতিসংঘ এমন পদক্ষেপ নিল।
দুই সপ্তাহ আগে মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিয়োপ শান্তিরক্ষীদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান। এরপর মালি থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পর্কিত প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্সের উত্থাপন করা প্রস্তাবটি শুক্রবার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
এদিকে পুরো ব্যাপারটির জন্য রাশিয়ার বিতর্কিত ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার বাহিনীকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালে মালি রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সঙ্গে মিত্রতা করার পর থেকেই সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে একের পর এক বিধিনিষেধের মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অবশেষে মিশনটি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
জঙ্গিদের হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় মিনুসমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল। মিশনটি প্রত্যাহার করা হলে দেশটির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা চলে গেলে মালির তুলনামূলক দুর্বল সেনাবাহিনী আর ওয়াগনারের এক হাজার সৈন্যকে আফ্রিকার দেশটির উত্তর ও মধ্যস্থলের বিস্তৃত মরুভূমি দখলে রাখা জঙ্গিদের মুখোমুখি হতে হবে।
কয়েকদিন আগেই রাশিয়ায় ক্ষণস্থায়ী একটি বিদ্রোহে জড়িয়ে পড়া ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ নিয়েও নানান জল্পনা-কল্পনা আছে। তবে বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, ওয়াগনারকে বেলারুশের বাইরে কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে।