পীর সেজে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ
হবিগঞ্জে পীর সেজে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এক প্রতারককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান খান সজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক আব্দুল কাইয়ুম (৪৫) জেলার বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর ২০১৮ সালে ফটিকছড়ির একটি মাজারে কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে কাইয়ুম ‘পীর’ সেজে ভুক্তভোগীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকেন। ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগীকে জানান, এ বাড়িতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হতে পারে। দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন। পরে বাড়িসহ আরও কিছু জায়গা বিক্রি করে প্রায় ৭০ লাখ টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী নারী হবিগঞ্জ চলে আসেন।
এদিকে হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় আট শতক জায়গা ক্রয় করেন। পরে সেখানে ঘর নির্মাণ করে সন্তানদের নিয়ে ভুক্তভোগী নারী বসবাস করতে থাকেন। এ সুযোগে কাইয়ুম ভুক্তভোগীকে পটিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সুস্থ হয়ে ৫ জুন প্রতারক কাইয়ুমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান খান সজল জানান, ওই মামলায় অভিযুক্ত কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা নামঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে কাইয়ুম মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।