হরিণের ডাক নকল করতে হবে, বিচিত্র প্রতিযোগিতা লাটভিয়ায়

হরিণের ডাক নকল করতে হবে, বিচিত্র প্রতিযোগিতা লাটভিয়ায়

লাটভিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হরিণের ডাক নকল করার বিচিত্র এক প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিয়েছেন ইউরোপের কয়েকটি দেশের শিকারিরা। লাটভিয়ার এই আয়োজনের বিজয়ী সুযোগ পাবেন হরিণের ডাক নকলের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। খবর রয়টার্সের।

গত শনিবার (৫ আগস্ট) পুরুষ হরিণের ডাক নকলের (স্ট্যাগ কলিং) লড়াইয়ে নেমেছিলেন বাল্টিক দেশগুলোর শিকার উত্সাহীরা। প্লাস্টিকের পাইপ, শামুকের খোলস বা ষাঁড়ের শিংয়ের খোলস দিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হরিণের বিভিন্ন ডাক হুবহু নকল করেন তারা। জঙ্গলে পুরুষ (লাল) হরিণের ডাক হুবহু নকল করে হরিণী শিকার করেন শিকারীরা। বহু প্রাচীন এই পদ্ধতি এখন অবশ্য খুব একটা দেখা যায় না। লাটভিয়া ছাড়াও লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়ার শিকারিরাও অংশ নেন বিচিত্র এই প্রতিযোগিতায়।

কে কার চেয়ে ভালো হরিণের ডাক নকল করতে পারে, এই প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল সেটাই। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ভাইদাস মারটিঙ্কাস বলেন, এখন যেটাই জিতি, সেটা আমার জন্য সেরা পুরষ্কার হবে না। আমার সেরা পুরষ্কার অপেক্ষা করছে জঙ্গলে। সেখানে গিয়ে উপযুক্ত লাল হরিণ শিকার করা আমার কাছে স্বর্ণপদক পাওয়ার সমান।

প্রতিযোগিতায় আরেক অংশগ্রহণকারী বলেন, প্রতিটি শব্দের পেছনে আলাদা গল্প রয়েছে। এই গল্প জানলে তা বিচারক আর দর্শকদের সামনে কিভাবে উপস্থাপন করা সহজ হয়। তবে বনে আমরা যেভাবে শব্দ করি, প্রতিযোগিতা থেকে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। জঙ্গলের হরিণের সাথে কথা বলতে আপনাকে অবশ্যই বিশেষ কিছু জানতে হবে।

প্রতিযোগিতায় নির্দিষ্ট ড্রেসকোড মানতে হয়েছে। এছাড়া রয়েছে আরও বেশকিছু নিয়ম। শুধুমাত্র শব্দ শুনে, ব্লাইন্ড অডিশনের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করেছেন বিচারক প্যানেল।

গত সাত বছর ধরে লাটভিয়ায় এই ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগামী বছর পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে হরিণের ডাক নকলের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশপ।