সাগরিকায় টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়

সাগরিকায় টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়

বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও সময়মতই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বাংলাদেশের সামনে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করার মিশন। অন্যদিকে আইরিশদের সামনে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন।

এমন এক সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের পুরো সফরে এই প্রথম বাংলাদেশ টস জিতলো। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিছুটা বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৪ রানের মাথায় টপ অর্ডারের সেরা তিন ব্যাটারের উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।

আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং রনি তালুকদার তাণ্ডব চালিয়েছিলেন আইরিশ বোলারদের ওপর। দ্বিতীয় ম্যাচে তো রীতিমত ১২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন তারা। এ দু’জনের উড়ন্ত সূচনার পর বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পার হয়ে গিয়েছিলো দুই ম্যাচেই।

কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে লিটন, রনি এবং শান্ত- তিনজনই ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ব্যাট করত নেমেই যথারীতি উড়ন্ত সূচনারই চেষ্টা করেছিলেন। একটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডেয়ারের বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ধরা পড়েন লিটন দাস। দলীয় রান তখন ৯।

এরপর রনি তালুকদারও তার স্বভাব অনুযায়ী ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সেই ঝড় থামিয়ে দিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন রনি। দলীয় রান তখন ২৪। তার আগেই ১৮ রানের মাথায় ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বল খেলে ধুঁকতে থাকা শান্ত আউট হলেন কেবল ৪ রান করে।

ব্যাটিং বিপর্যয় চলমান রেখে দ্রুত আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান এবং তাওহিদ হৃদয়ও। দলীয় ৪১ রানের মাথায় আউট হন সাকিব। ৬ বলে তিনি ৬ রান করেন। সম্ভাবনাময়ী তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ওপর আস্থা ছিল এই বিপর্যয়ে হাল ধরবেন। কিন্তু তিনিও পারলেন না। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তিনিও। ১০ বলে তাওহিদ করেছেন ১২ রান।

এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৭.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান। শামীম হোসেন পাটোয়ারি শূন্য রানে এবং রিশাদ হোসেন ব্যাট করছেন ৬ রানে।