যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়ছে ইউক্রেনের
                                রাশিয়ার পূর্বঘোষিত হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে পালটা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। ইতোমধ্যে ন্যাটো মিত্র স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে নিজের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের পুরো বহর দিয়েছে। খুব দ্রুত আরও যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে কয়েকটি দেশ।
সোমবার স্লোভাকিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেনকে দুই দফায় ১৩টি রাশিয়া নির্মিত চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ দেওয়া হয়েছে। স্লোভাকিয়া সঠিক কাজ করেছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় এসব যুদ্ধবিমান গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে।
প্রথম ন্যাটো দেশ হিসেবে স্লোভাকিয়া ও পোল্যান্ড ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিমাদের কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছিল কিয়েভ। ন্যাটোর সদস্যরা ইউক্রেনকে পশ্চিমা নির্মিত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দিতে রাজি হয়নি। যদিও মার্কিন নির্মিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
সফল পালটা আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে চাইছে ইউক্রেন। এক্ষেত্রে পশ্চিমা অস্ত্রের সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে ন্যাটো নির্মিত কোনও যুদ্ধজাহাজ এই পাল্টা আক্রমণের সরবরাহ করা হবে না।
পেন্টাগন ও মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া গোপন নথির বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, রাশিয়ার পূর্বঘোষিত ৩০ এপ্রিলের হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে যুক্তত্রাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তারা ইউক্রেনকে বসন্তের ‘পালটা আক্রমণের’ জন্য তৈরি করতে ব্যস্ত। নথি অনুযায়ী এটি এপ্রিলের শেষে শুরু হতে চলেছে।’
নথিতে আরও বলা হয়, পালটা আক্রমণ ‘ইউক্রেনের দশম অপারেশনাল সৈন্যদল দ্বারা পরিচালিত হবে। নয়টি ব্রিগেডের সমন্বয়ে গঠিত। আর এটি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দ্বারা পুনরায় সজ্জিত করা হচ্ছে।
                        

                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
