‘ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে আগুন এতো ছড়াতো না’

‘ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে আগুন এতো ছড়াতো না’

বহুতল ভবন হিসেবে গুলশানের এই ভবনে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার কথা। এটি থাকলে ভবনের আগুন এতো ছড়াতো না বলে মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোহম্মদ শাহিদউল্লাহ। রোববার রাতে যমুনা নিউজকে এ কথা বলেন তিনি।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভবনটির সাত তলায় এই আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন অন্যান্য ফ্লোরেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে পর্যায়ক্রমে আরও ১৬টি ইউনিট যোগ দেয়। পরে ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

আবু নাঈম মোহাম্মদ শাহিদউল্লাহ বলেন, তাদের নিজেদেরই কর্মী থাকার কথা। যাতে ভবনে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস আসার আগ পর্যন্ত তারাই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে। আমরা এখানে দেখেছি তাদের নিজস্ব সেই ব্যবস্থা যদি থাকতো তাহলে আগুন এতো ছড়াতো না। ওখানের স্থানীয়দের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি আগুন লাগার পর ভবনের মালিক কাউকে সেখানে ঢুকতেই দেয়নি। ফায়ারকর্মীদের প্রথমে ঢুকতে দেয়নি। পরে তারা জোর করেই ঢুকেছে। আগুন মিনিটে মিনিটে বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আগুন এক ফ্লোর থেকে আরেক ফ্লোরে চলে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি এই বিল্ডিংয়ের ইনবিল্ড ফায়ার সিস্টেম ছিল না। থাকলে সেটা কাজ করেছে কিনা সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। এখানে যারা কর্মী আছেন তারা তাদের নিজেদের যন্ত্রগুলো ব্যবস্থা করতে পারতেন। এখানে একটা সন্দেহের ব্যাপার তারা সেটা ব্যবহার করতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিস আসার সাথে সাথে উৎসুক জনতার এতো ভিড় যে সেখানে যেতে ফায়ার ফাইটারকর্মীদের সেখানে যেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উৎসুক মানুষের ভিড় সরিয়ে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা ও আহতদের হাসপাতালে পাঠানোও দুষ্কর হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন এই বিশেষজ্ঞ।