বোনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় খুন হয় কলেজ ছাত্র আলী

বোনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় খুন হয় কলেজ ছাত্র আলী

বোনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় কলেজ ছাত্র আলী হোসেন মীরকে (২০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত ছিলো আটজন। শাকিল হোসেন নামের এক কিশোরকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার মূলরহস্য উদঘাটন করা হয়। এরপর র‌্যাবের অভিযানে হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী শাওন শরীফকে (২০) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার চরপদ্ম গ্রামের।

রোববার (১২ মার্চ) সকালে র‌্যাব-৮ এর সিপিএসসির কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, র‌্যাব-৩’র সহযোগিতায় র‌্যাব-৮ এর একটি অভিযানিক দল হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী শাওন শরীফকে ঢাকার নয়াপল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে।

এজাহারের বরাত দিয়ে মুলাদী থানার ওসি তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, বান্ধবীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে কলেজ ছাত্র আলী হোসেন মীরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৬ ফেব্রুয়ারী নিহতের বাবা বাবুল মীর বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওসি আরও বলেন, মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে গত ৭ মার্চ শাকিল হোসেন (১৭) নামের এক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যার মূলরহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। পরবর্তীতে শাকিল বরিশাল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মাহফুজ আলমের কাছে জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে চরপদ্ম গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে শাকিল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী চরপদ্ম গ্রামের দেলোয়ার শরীফের ছেলে শাওন শরীফ (২০)।

কারণ হিসেবে শাকিল উল্লেখ করে, শাওনের ছোট বোন মডেলিংয়ের সাথে জড়িত। শাওনের বোনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একই গ্রামের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র আলী হোসেন। এ মন্তব্য কৌশলে মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে শাওনের বন্ধু ইমন। পরে সেই রেকর্ড শাওনকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এতে শাওন চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে আলী হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওসি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বান্ধবীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাতে একা বাড়ি ফেরার পথে শাওনসহ তার অন্যান্য সহযোগিরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আলী হোসেনকে হত্যা করে।