বাউফলে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকীর মিছিলে সংঘর্ষ; উপজেলা চেয়ারম্যান ও পুলিশসহ আহত ৫০

বাউফলে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকীর মিছিলে সংঘর্ষ;  উপজেলা চেয়ারম্যান ও পুলিশসহ  আহত  ৫০

মাহামুদ হাসান, বাউফল : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  জন্ম বার্ষিক ও জাতীয়  শিশু  দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও ৯ পুলিশসহ  কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও ধুলিয়া ইউনিয়ন এর ইউ পি সদস্য রিপন হাওলাদারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্ব একটি আনন্দ  মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের  সামনে বাধা দেয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং হুলুস্হল বাধে এক পর্যায়ে দূর্বৃত্তের হাতে  আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ তার অনুসারি গৌতম দাস, অমল চন্দ্র দাস, জাহিদ বক্স, রাজিব, জলিল, পলাশ, রাজা মিয়া, হাসান, বেল্লাল, রিপন, ইমরান গুরুত আহত হন।  

এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ২০ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ওসি আল মামুন,  এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই হুমায়ন কবির, এসআই  আবুল বশার, এস আই আবুল হাসান, এএসআই শাহিন,  কনেস্টবল রাহাত, কনেস্টবল ইতি, কনেস্টবল  রবিউল আহত হয়েছেন।এদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদের হাতে, পেটে ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। 

এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক  হলে দুপুর ১২টার দিকে আ স ম ফিরোজ  এমপির নেতৃত্ব একটি আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পাবলিক মাঠে সমাবেশ করেন।

উল্লেখ, বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি,  উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার  মেয়র জিয়াউল  হক জুয়েল এবং পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসিব আলম তালুকদার, আলাদা আলাদা কর্মসূচীর ঘোষনা করেন।

বাউফলের ইউএনও বলেন, সব পক্ষকেই  সহ অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল।তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি  পালন করবেন।কিন্তু তারা কথা রাখেননি।আমি হাতজোড় করে  তাদেরকে অনুরোধ করেছি।তারা আমার কথা শুনেননি।’

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন এ কর্মসূচীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন ছিল।ঘটনার সময় সংহিসতা মোকাবেলা করতে ২০রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া  হয়।এসময় আমিসহ ৯ পুলিশ আহত হয়েছেন।