বাউফলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ।

বাউফলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ।

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার। 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের কালিশুরী পুলিশ ক্যাম্প রোডের এক সেনেটারি ব্যবসায়ীকে ২২/১১/২০২৩ খ্রিঃ বুধবার রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয় ভিতি দেখিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৪ নং কেশবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের এর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে কালিশুরী ইউনিয়নের কালিশুরী বাজারের পুরানো ব্রিজ সংলগ্নে ফল ব্যবসায়ী সালাম খানের বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাধারণ ব্যবসায়ী আমিনুল হোসেনকে ভয়ভীতি ও প্রান নাসের হুমকি দেখিয়ে যে ঘটনা ঘটে নি সেই ঘটনার মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়েছে ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী মোঃ আমিরুল হোসাইন পিতা মৃত্যু চান্দু হাওলাদার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মোঃ আমিনুল হোসাইন তিনি বলেন, আমি বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পরে আমাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাড়িতে এসে বলে আমিনুল তুমি আমার সাথে চলো,আমিনুল বলে আমি কোথায় যাব সাইফুল বলে একটি শার্ট নিয়ে আসো আমরা কালিশুরী খান বাড়িতে যাব বলে মোটরসাইকেল যোগে কালিশুরী খান বাড়িতে নিয়ে আসার পরে একটি কক্ষের গেট লাগিয়ে দিয়ে আরো দুই তিনজন সাথে নিয়ে একটি অস্ত্র দেখিয়ে চাকরি টাকা পয়সার তার নিজ হাতে লেনদেন করেছে বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়েছে এবং আমার নিজের মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোবাইলের লক খুলে একাধিকবার স্বীকারোক্তি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।পরে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজা আমাকে ফোন করে বলেন আমার মা এবং বোন কালিশুরী ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য যাবে আপনি আমার মা এবং বোনকে একটু সহযোগিতা করবেন কিন্তু একই একাউন্টের চেক দিয়ে দুইবার টাকা উত্তোলন করা যাবে না বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান ব্যাংক থেকে চলে আসার পরে আমিনুলের দোকানের পিছনে ফাঁকা জায়গায় বসে ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান গাজীর ছেলে সজীব গাজীর সাথে কথাবার্তা বলে চলে যায় কি কথাবার্তা বলেছে আমি কিছুই জানিনা না।

এ বিষয় কেশবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় বাউফল থানার নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজীকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।