ডাসারে ব্রীজ নির্মাণে বাঁধা !! বিপাকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারও এলাকাবাসি

মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ, ডাসার(মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা ও বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার সিমান্তবর্তি এলাকার ডাসার উপজেলার বেবাজিয়া খালের উপর সংযোগ ব্রীজ নির্মাণে ব্যক্তিসার্থ হাসছিলে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালত সহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেন নজরুল ইসলাম পালোয়ান।
জানা যায়, বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার বাকাই ইছাকুড়ি মৌজার ৪ নং খতিয়ানে বিআরএস ২৯ নং দাগটি সম্পুর্ন সরকারি রাস্তা,যাহা বর্তমান সরকারি নকশায় রয়েছে। রাস্তাটি পূর্ব প্রান্তে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানা এবং পশ্চিম প্রান্তে মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলা। যাহা বেবাজিয়া ঘাট/খাল নামে পরিচিত। ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে ওই খালের উপর কারিতাস নামে একটি সমিতির সহায়তায় একটি সংযোগ ব্রীজ নির্মাণ করেছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল কাসেম। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের বর্নায় ব্রীজটি ভেঙ্গে গেলে বাশের সাকো তৈরি করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ দুই উপজেলার হাজারও লোকজন এক প্রকার ঝুঁকি নিয়েই চলাফেরা করতো। এলাকার মানুষের দুরর্দশার কথা চিন্তা করে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ভাতিজা সৈয়দ নুরুজ্জামান বাবু বিভিন্ন দপ্তরের যোগাযোগ করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দে ব্রীজের দু'প্রান্তে ৪০০মিটার এ্যাপরোজ রাস্তা সহ একটি ব্রীজ পাশ করান। ব্রীজটি ইতিমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উক্ত ব্রীজের কাজটি শুরু করতে আসলে, ব্যক্তিসার্থ হাসছিলের উদ্দেশ্য গৌরনদী থানার বাকাই ইছাকুড়ি গ্রামের মৃত আবুল হোসেন পালোয়ানের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম পালোয়ানসহ তার লোকজন নিয়ে ব্রীজটি নির্মাণে বাধা প্রদান করেন এবং তিনি মাদারীপুর জেলা ও কালকিনি উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা সহ মহামান্য আদালতেও ব্রীজ নির্মাণের জায়গাটি নিজের দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে মহামান্য আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কাজ বিরতি প্রদানের যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ উড্ড করেন এবং কাজ করায় কোন বাধা নাই বলে জানান।
বাধা প্রদান ও অভিযোগ কারী বাবুল পালোয়ান,নজরুল ইসলাম পালায়ানের কাগজ(এসএ এবং বিআরএস রের্কড পর্চা) ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই জায়গার মুলমালিক বন্দনা রানী মন্ডল,অনুকুল কুলু,কালীপদ বাড়ৈ। তিনি ওই জায়গা জমি জোর করে ভোগদখল করে আসছেন।
কলেজ পুড়ুয়া শিল্পী আক্তার,রেশমা,বেবী ও সম্পা আক্তার বলেন,এই ব্রীজটি ছিল আমাদের প্রাণের দাবি। ব্রীজ পাশ হওয়ায় আমরা খুব খুশি। এখন যত তারাতারি নির্মাণ হয়,ততই আমাদের সকলের মঙ্গল। আমরা প্রতিদিন এখান দিয়ে সরকারি শেখ হাসিনা কলেজে যাওয়া আসা করি। আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রীজটি নির্মান হলে আমরা ,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ব্রীজের উপর দিয়ে গিয়ে ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ ও ডি,কে,আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজে গিয়ে ঠিক সময় হাজির হয়ে পড়াশুনা করতে পারবো।
স্থানীয় এলাকাবাসি মালেক সরদার,আদারী হাওলাদার বলেন, ও রাধারাম বাড়ৈ বলেন, ব্রীজটি হয়ে গেলে উপজেলা সদর ও বিভিন্ন হাট বাজারে যাওয়া আসা সহজ হবে। বেশী উপকৃত হবে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ভাসাই সরদার ও গৌরনদী থানা এলাকার খাঞ্জাপুর ই্্্্্উপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাদ বলেন, ব্রীজটি খুবই গুরুত্বপুর্ন ছিল। ব্রীজটি নির্মানের মাধ্যমে দুই জেলার সংযোগের মাধ্যমে সাধারন জনগনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হবে।