থামছে না কামালের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কান্না

থামছে না কামালের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কান্না

গত মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে মনের ভেতরের বেদনা কী করে বোঝাবেন কামালের বাবা-মা। বারবার কেদে মূর্ছা যাচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে নিহত কামালের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কামালের বাবা কৃষক সফিকুল ইসলাম ও মা বানু বেগমের কান্না থামছেনই না। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তারা। গ্রামবাসীও ভুলতে পারছেন না তার নৃশংস হত্যার কথা। ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বিদেশে গিয়ে নিহতের খবরে তারা হতবিহ্বল। এ ঘটনায় দূতাবাসের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

আরও পড়ুন: মাঝপথেই বরফে জমে মারা গেল বাংলাদেশি যুবক

এর আগে গত মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন কামাল হোসেন। তিনি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে।

আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: সীমান্তে ‘বিএসএফের’ গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

নিহত কামালের বাবা কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে কামাল হোসেন ছিল দ্বিতীয় সন্তান।

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে কামাল হোসেনের কর্মস্থলে এসে চাঁদা চান একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় চাঁদা না দেয়ায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তার ওপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই কামাল হোসেন মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি ও কামালের মরদেহ দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।