মাদারীপুরের ডাসারে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষন চেষ্টা; শাস্তি যুবককে জুতাপেটা

মাদারীপুরের ডাসারে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষন চেষ্টা; শাস্তি  যুবককে জুতাপেটা

মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,ডাসার(মাদারীপুর )প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরের ডাসারে  রাতের আধারে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ছুড়ির ভয় দেখিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষন  চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রী নিরুপায় হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এ ঘটনার শাস্তি হিসেবে  শালিস বৈঠকের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারন এবং তাকে জুতাপেটা করেছে স্থানীয় মাতুব্বরা।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বালীগ্রাম এলাকার ঘুইঙ্গাকল গ্রামের সৌদী প্রবাসীর স্ত্রী সম্প্রতি রাতের খাবার খেয়ে দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে বাঘুরিয়া গ্রামের চান্দু ঘরামীর ছেলে জামাল ঘরামী  ঘরের পেছনের বেড়া খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সে একটি ছুড়ি বের করে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় প্রবাসী স্ত্রীর ডাকচিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে জামাল ঘরামী দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রী ডাসার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগের কথা জেনে অভিযুক্ত জামালকে নিয়ে গ্রাম্য মাতুব্বরা মিলে গোপনে একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। ওই শালিস বৈঠকে অভিযুক্ত জামালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারন করে ও ভুক্তভোগীকে শান্তনা স্বরুপ অভিযুক্তকে কয়েকটি জুতাপেটা দেন। বিষযটি আজ দুপুরে ভুক্তভোগী নিশ্চিত করেন।

ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, গভীর রাতে আমাদের ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে জামাল ঘরামী আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। উপায়ন্ত না দেখে আমি বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করলে,আশেপাশের লাকজন আসার শব্দ শুনে ও দৌড়ে পালিয়ে যায়। এলাকার মেম্বাররা জামালের পরিবারের থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুস খেয়ে আমাকে জোর করে মিমাংসা করে। আমি জামালের  বিচার চাই। এ মিমাংসা মানি না।

অভিযুক্ত জামাল ঘরামী জানান, আমার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র।  আমরা শালিসির মাধ্যমে অপোষ মিমাংশা হয়ে গেছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গ্রাম্য মাতুব্বর দেলোয়ার বলেন, আমরা শালিসির আয়োজন করেছিলাম উভয় পক্ষকে মিমাংসা করার জন্য। কাউকে বাচানোর জন্য নয়। তবে শালিসির মাধ্যমে জামাল ঘরামীর বিচার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি দেখতেছি।