হেলিকপ্টার চড়ে শ্বশুরবাড়ি গেল নববধূ শান্তা

হেলিকপ্টার চড়ে শ্বশুরবাড়ি গেল নববধূ শান্তা

বরিশালের গৌরনদীতে  হেলিকপ্টারে তুলে নেওয়ার  কনের ইচ্ছা পূরণ করলেন বর। তাই বিয়ের পর গৌরনদী থেকে বর কনেকে (ডাক্তার নবদম্পতি) নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে খুলনার নিজ বাড়িতে ফিরলেন। হেলিকপ্টারে   চাপড়ে বর কনেকে (ডা. নবদম্পতি) নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য  সহস্রাধিক উৎসুক মাণুস গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত  সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার গৌরনদী পৌরসভার উত্তর বিজয়পুর এলাকার ব্যবসায়ী  

নিজামউদ্দিন ভূইয়ার কন্যা মেডিকেল কলেজ ছাত্রী শান্তা  ইসলামের সঙ্গে খুলনা নগরীর ফুলতলার দামোদর উত্তরপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক শেখ দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে  ডাঃ শেখ তাওহীদ ইসলামের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।  বর তাওহীদ ইসলাম বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। বরের  মা কলেজ শিক্ষিকা সেলিনা খাতুন ও সহোদর ছোট ভাই শেখ সৌরভ। কনে ঢাকা মহানগরীর এম.এইচ সমরিতা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।  কনের মা গৃহনী আকলিমা আক্তার ও সহোদর ভাই আলিফ ইসলাম (১৭), আবির ইসলাম (১২), রোহান ইসলাম (৬)।

কনের বাবা টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী নিজামউদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমার কন্যা মেডিকেল কলেজ ছাত্রী শান্তা ইসলামের বিয়ে দিন ধার্য্য করার সময় আমার মেয়ে  (কনে) নবজামাতা ডাঃ তাওহীদ ইসলামের (বর) কাছে  হেলিকপ্টার যোগে তুলে  নেওয়ার ইচ্ছা পূরণের আবদার করেছিল। সড়ক পথে বরের সঙ্গে ৬০ জন বরযাত্রী আমার (কনে) বাড়িতে আসেন। বরযাত্রীসহ আমার  আত্মীয় স্বজন ও ঘনিষ্ঠ ৬ শত লোককে মেহমানদারি করানো হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে  বর, তাওহীদ, কনে শান্তা ও কনের সহোদর ভাই আলিফ ইসলাম, বরের সহোদর ভাই শেখ সৌরভকে নিয়ে হেলিকপ্টার সরকারি গৌরনদী কলেজ মাঠ থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উড়াল দিয়ে চলে যায়। আমার নবজামাতা ডাঃ শেখ তাওহীদ মেয়ের (কনে) ইচ্ছা পূরণের জন্য বিয়ের দিনে মেয়েকে (কনে) হেলিকপ্টারে তুলে নিয়ে যায়। জামাতা মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করায় আমি খুব খুশি হয়েছি।

গৌরনদী থানার এএসআই মো. জসিম মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে পাইলট ক্যাপ্টেন মো. তাজউদ্দিন হেলিকপ্টারটি নিয়ে  বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের সময় সরকারি গৌরনদী পা্ইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বর ডা. শেখ তাওহীদ ইসলাম, কনে মেডিকেল ছাত্রী শান্তা ইসলাম, কনের ভাই আলিফ ইসলাম, বরের ভাই শেখ সৌরভকে নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টন মো. তাজউদ্দিন বিকাল ৪টা ২৫মিটিনের সময়  খুলনার উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার উড়াল দেয়।