বরিশালে মদপান করিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

বরিশালে মদপান করিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

মদপান করিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের ঘেয়াঘাট গ্রামের।

শনিবার দুপুরে ওই গ্রামের আবুল বাসারের মেয়ে হালিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত পাঁচ বছর পূর্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গাড়ি চালক ও একই ইউনিয়নের শৌলকর গ্রামের আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে তার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। এটি তাদের উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তিনি (হালিমা) স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

হালিমা আরও বলেন, ঢাকায় থাকাকালীন স্বামীর একাধিক পরকীয়া হাতেনাতে ধরে ফেলায় আমার উপর সে শারিরিক-মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এমনকি আমাকে একাধিকবার জোরপূর্বক মদপান করিয়ে শারিরিক ও পাশবিক নির্যাতন করেছে। স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের পরেও মুখ বুঝে সব সহ্য করে আসছিলাম। গত ২০ দিনপূর্বে আমাকে ঢাকা থেকে বাটাজোর এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস শুরু করি। আমাদের ভাড়াটিয়া বাসায় আমার স্বামীর সাথে তার বন্ধু বাটাজোর ইউপি চেয়ারম্যানের ড্রাইভার কামাল হোসেন মাঝে মধ্যে যাতায়াত করতো।

হালিমা অভিযোগ করেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমার স্বামীর বন্ধু কামাল আমাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীকে ভুল বুঝায় কামাল। ওইদিনই আমার স্বামী ও তার বন্ধু কামাল আমার উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এমনকি আমার ছোট ভাইয়ের উপরও তারা হামলা চালায়। অত্যাচারী স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি (হালিমা) প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।

নির্যাতিতার বাবা আবুল বাসার বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে অত্যাচার করে আসছে মেয়ে জামাতা আবু সাঈদ। আমার পরিবার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় থানায় মামলা না করে বাটাজোর ইউপির গ্রাম আদালতে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু গ্রাম আদালতে আমরা হাজির হলেও মেয়ে জামাতা আবু সাঈদ আসেনি।

স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, মদ পানতো দুরের কথা আমি কখনো সিগারেটও সেবন করিনি। আমার স্ত্রী যে সকল অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।