অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোলের চমকে সেমিতে রিয়াল
প্রথমার্ধে পুরোটাই অপরিকল্পিত খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচের শেষটা বোধহয় সুখের হবে না রিয়াল মাদ্রিদের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ হাসি হেসেছে কার্লো আনচেলত্তির দলই।
একের পর এক আক্রমণ করে সান্তিয়াগোর বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত নিজেদের করে রাখল সাদা জার্সির দলটি। এদিন কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-১ গোলে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
খেলায় আলভারো মোরাতার গোলে পিছিয়ে পড়েও রিয়ালের রদ্রিগো, বেনজেমা ও ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি তাদেরই হয়।
প্রথমার্ধে অগোছালো খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। খেলার প্রথমেই গোল প্রায় খেয়ে বসেছিল অ্যাতলেতিকো। ভিনিসিওসের শট শেষ মুহূর্তে দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়ে দলকে গোলের হাত বাঁচান ডিফেন্ডার রেইনিলদো। এরপর প্রথমার্ধে দু’দল বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ রীতিমত অগোছালো খেলা খেলে অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করে।
প্রথমার্ধের ভুলগুলো শোধরে দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমত আগ্রাসী হয়ে খেলে রিয়াল। তবে গুছিয়ে খেলেও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে বেনজেমারা।
খেলায় রিয়ালের প্রথম গোল আসে ৬৯তম মিনিটে রদ্রিগোর পা থেকে। মদ্রিচের পাস থেকে দু’জনকে কাটিয়ে ডিবক্সে ঢুকে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন তিনি।
অতিরিক্ত সময়ে লালকার্ড দেখে অ্যাতলেতিকোর স্তেফান সাভিচ। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া দলটি রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে। এর পাঁচ মিনিট পরেই বেনজেমার গোলে ব্যবধান ডাবল করে রিয়াল।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দানি সেবাইয়োসের পাস থেকে অ্যাতলেতিকোর ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে নিচু শটে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিউস।
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়াও সেমিফাইনালে ওঠা অন্য তিন দল হলো, বার্সেলোনা, অ্যাতলেতিক বিলবাও ও ওসাসুনা।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সেই ড্রয়েই নির্ধারিত হবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কে কার মুখোমুখি হবে।