অসামাজিক কার্যকালাপের সময় গ্রামবাসীর হাতে পরকীয়া প্রেমিক ও প্রবাসীর স্ত্রীকে আটক বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ

অসামাজিক কার্যকালাপের সময় গ্রামবাসীর হাতে পরকীয়া প্রেমিক  ও প্রবাসীর স্ত্রীকে আটক বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার // বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অসামাজিক কার্যকালাপের সময়  গ্রামবাসীদের হাতে পরকীয়া প্রেমিক ও প্রবাসীর এক স্ত্রীকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুলশ্রী গ্রামে বাইপাস সড়ক এলাকার শাহাদাত হোসেনের ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের আত্মীয় স্বজনরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য  বিভিন্ন  জায়গায় টাকা ছিটানোর অভিযোগ উঠেছে।
ওই বাসার মালিক শাহাদাত হোসেন জানান,  গৌরনদী উপজেলার বার্থী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মকবুল বেপারীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী লাকি বেগম (৩৪)  গত তিন মাস পূর্বে তার পাকা ভবনের একটি রুম ভাড়া নিয়ে একাই বসবাস করে আসছিল। 
ওই প্রবাসীর দুই ছেলে  আগৈলঝাড়ার একটি মাদ্রাসার বডিংয়ে থেকে পড়াশুনা করে আসছে। অসামাজিক কার্যকালাপের সময় স্থানীয় লোকজনে তার বাসার ভাড়াটিয়া  প্রবাসীর স্ত্রী লাকি বেগম(৩৪) ও পরকীয়া  প্রেমিক ফরিদপুর  জেলার মাসুদ খান (৩৭)কে হাতেনাতে আটক করে। 
এ খবর জানাজানি হলে ওই পরকীয়া প্রেমিক ও প্রবাসীর  স্ত্রীকে দেখার জন্য গ্রামবাসীসহ উৎসুক  জনতা তার বাড়িতে ভিড় করে।  প্রবাসীর স্ত্রীর বড় ভাইর ভূয়া পরিচয় দিয়ে ফরিদপুর জেলার মাসুদ খান প্রতি মাসে একবার  তার ভাড়াটিয়া বাসায় এসে  ৪/৫ দিন  করে  থেকে চলে যায়। 
গত তিনদিন পূর্বে  ভাড়াটিয়া বাসায়  মাসুদ খান এলে স্থানীয়রা ওৎ পেতে অসামাজিক কার্যকালাপের সময়  প্রবাসীর স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক মাসুদকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, অসামাজিক কার্যকালাপের সময় ভাড়াটিয়া একটি রুম থেকে প্রবাসীর স্ত্রী ও পরকীয়া এক প্রেমিককে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। 
খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া ও গৌরনদীর কয়েকজন সাংবাদিক  ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সত্যতা পান।  রহস্য জনক কারণে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে  স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান।
আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কেএম আজাদ রহমান জানান, অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক ও প্রবাসীর অভিযুক্ত স্ত্রী  লজ্জায় আমার কাছে নাম ও ঠিকানা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তারা কাপড় ও ওড়না দিয়ে ২ জনই মুখ ঢেকে রাখেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলে অভিযুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী লাকি বেগমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন,  এ ব্যাপারে আমার কোন কিছু  জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।