স্ত্রীকে হত্যার পর পাগলের ছদ্মবেশ, অবশেষে গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে হত্যার পর পাগলের ছদ্মবেশ, অবশেষে গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার আব্দুল লতিফ কাজী (৩৮) রাজবাড়ী সদর উপজেলার বার্থা গ্রামের মৃত মতিয়ার কাজীর ছেলে।

নিহত বিউটির মেয়ে মীম জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই ঘরের এক রুমে ঘুমাতে যায়। সেও নিজ রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

রাত দুইটার দিকে মীম তার মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে। পাশের রুমে গিয়ে দেখতে পায় তার বাবা তার মাকে চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছেন। এ দৃশ্য দেখে সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তখন তার বাবা দৌড়ে পালিয়ে যান।

নিহত বিউটির বাবা বিল্লাল মোল্লা জানান, লতিফ মজুদ পণ্যের ব্যবসা করতেন। সাংসারিক সামান্য কথা কাটাকাটি হলেও লতিফ তার মেয়েকে মারধর করতেন।

তিনি জানান, গত ১৮ জানুয়ারি রাতে লতিফ তার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরদিন তিনি লতিফকে একমাত্র আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাজবাড়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল হোসেন জানান, স্ত্রীকে হত্যার পর লতিফ পাগলের ছদ্মবেশ ধারণ করে কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন থাকতেন। ওই এলাকায় মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রির সহযোগীর কাজও করতেন তিনি। কোন ঘর বা বাসা ভাড়া নেননি লতিফ কাজী। দিনরাত সবসময়ই রেলওয়ে স্টেশনেই থাকতেন।

এই কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় ছিল। অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।