সরকারি নীতিমালার আওতায় আসছে ৫৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরকারি নীতিমালার আওতায় আসছে ৫৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরকারি নীতিমালার আওতায় আসছে দেশের বেসরকারি প্রায় ৫৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়। নীতিমালা পাশ হলে সরকারের একাডেমিক স্বীকৃতি ও নিবন্ধন নিতে হবে প্রতিটি স্কুলকে। এতে ইচ্ছেমতো বেতনও নিতে পারবেনা স্কুল কতৃপক্ষ। কমবে চাপিয়ে দেয়া বইয়ের ভারও। এমন নীতিমালা স্বাগত জানিয়ে এর কার্যকর বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন অভিভাবকরা।

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। আর বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার। নতুন নীতিমালার মাধ্যমে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণ, বেসরকারি ৯০ ভাগ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই সরকারি একাডেমিক স্বীকৃতি ও নিবন্ধন নেই।

প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা মনে করি, বেসরকারি স্কুলগুলোর তত্ত্বাবধান করা প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। একাডেমিক স্বীকৃতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস পর্যায়ে নিস্পত্তি হবে এবং নিবন্ধনের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পর্যায়ে নিস্পত্তি হবে। নীতিমালাটি শীগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদন পাবে বলে আশা করেন প্রাথমিক শিক্ষা সচিব।

সরকারি নিবন্ধন না থাকায় বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে নানা অরাজকতার অভিযোগ রয়েছে। কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির বেতন জানুয়ারিতে নেয়া হয়েছিল ৩ হাজার ৪৬০ টাকা, মার্চে তা বেড়ে হয় ৩ হাজার ৬’শ ৩০ টাকা। মে মাসে ৬ হাজার ১৭০ টাকা নেয়া হলেও অক্টোবরের জন্য নির্ধারণ করা আছে ৪ হাজার ৩০ টাকা। বছর বছর বেতন বৃদ্ধিই শুধুই নয়, বেশিরভাগ বেসরকারি প্রাথমিকেই এভাবে প্রতি মাসে বেতনের মাত্রা ওঠানামা করে। আবার স্কুলের মাধ্যমে বই কিনতে বাধ্য করে বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দাম নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

নতুন নীতিমালায় এসব ক্ষেত্রে লাগাম টানতে চায় মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের বেতনের ভারসাম্য আনতে চায় এবং বইয়ের ভারও কমাতে চায়। প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক বাধ্যতামুলকভাবে পড়াতে হবে। পালন করতে হবে সকল জাতীয় দিবস। তবে ইংলিশ ভার্সন থাকলেও এই নীতিমালার আওতায় নেই ইংরেজি মাধ্যম স্কুল।