কিশোরগঞ্জে মাদরাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ, মামলার পর জেলহাজতে অভিযুক্ত

কিশোরগঞ্জে মাদরাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ, মামলার পর জেলহাজতে অভিযুক্ত

কিশোরগঞ্জের এক মাদরাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হলে অভিযুক্ত মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানাধীন আল-ইসলামিয়া মাদরাসা ও হাজেরা আক্তার মহিলা মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকদের একজন হাফেজ ক্বারী মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার বিরুদ্ধে আভিযোগ, মাদরাসায় পড়ার সময় থেকেই হত্যা ও পরিবারের ক্ষতির হুমকি দিয়ে তিনি সেখানকার ছাত্র রাতুলকে বলাৎকার করেছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্র সাজিদুল ইসলাম রাতুল বলেন, একসময় মাদরাসা ছেড়ে পাশের একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতে চলে যান রাতুল। সেখানেও তার রেহাই মেলেনি। ঘটনা জানাজানি হলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে থানায় মামলা হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয়। আসামি স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এই শিক্ষক দ্বারা আরও কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মাদরাসার শিক্ষক হয়েও এমন জঘন্য কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি, পুরো বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে অভিযুক্তের সঠিক বিচার করতে হবে।