বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা

দু’দিনে চতুর্থবারের মতো বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাকুলিয়া, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা। বৃষ্টির সাথে জোয়ার শুরু হলে, সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। রাস্তাঘাট ছাপিয়ে পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি-দোকানপাটে। অবর্ননীয় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। উন্নয়ন সংস্থাগুলোর অপরিকল্পিত কার্যক্রমে ক্ষোভ জানান মানুষ। সিডিএ বলছে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায়, আবারও দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী।

নগরীর মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকার চিত্র এটি। একই চিত্র চকবাজার, বাকুলিয়া, কাতালগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নিচু এলাকাগুলোর। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে তলিয়ে আছে বন্দর নগরী

নালা নর্দমা খাল উপচে রাস্ত-ঘাট ছাপিয়ে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে।এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তী স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষের। রিক্সা-ভ্যানে দাঁড়িয়ে, বুক পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যান তারা।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে নানান নামে ১০ হাজার কোটির বেশি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুর্ভোগ কমেনি একটুও। এতে ক্ষোভ জানান সাধারণ মানুষ।

আর সিডিএ বলছে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ বেশিরভাগ শেষ হয়েছে। কিন্তু স্লুইচ গেইট ও হাই প্রেশার পাম্পগুলো এখনো অপারেশনে আনা যায়নি। তাই কিছু এলাকায় এবারো জলাবদ্ধতা তৈরী হচ্ছে। আগামীবার আর হবে না।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, পুর্ণিমার কারনে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতায় রয়েছে সাগরের পানি। এর ওপর মৌসুমী বায়ু ও স্থুল নিন্মচাপ থাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। ফুটেজ-৩ জোয়ারের সময় বৃষ্টি হলে, আরো দুই তিন দিন জলাবদ্ধতার ভুগতে হবে চট্টগ্রাম।