পানির অভাবে ৩০টি ব্লকে সেচ কাজ ব্যাহত
অকেজো স্লুইচ গেটের কপাট সংস্কার না করায় পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ৩০টি বোরো ব্লকে পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। খালের পানির জন্য জোয়ারের অপেক্ষায় থাকা কৃষকরা সঠিক নিয়মে জমিতে পানি দিতে না পারায় চরম দুঃচিন্তার মধ্যে রয়েছেন।
স্লুইচ গেট বন্ধ থাকার বিষয়টি একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছালামকে জানানো সত্বেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলেও চাষীরা অভিযোগ করেন। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার উত্তর বড়মগড়া নামক এলাকার।
শনিবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট মহাসড়কের বড়মগড়া নামক স্থানের স্লুইচ গেটের কপাট দীর্ঘদিন ধরে অকোজে অবস্থায় পরে থাকায় পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারনে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মগড়া, জলিরপাড় ও কোদালধোয়াসহ পাশ্ববর্তী এলাকার ৩০টি ইরি-বোরো ব্লকে পানি দিতে না পারায় প্রায় দুই হাজার কৃষকের ১৫শ’ একর জমির ফসল নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন।
উত্তর বড়মগড়া গ্রামের স্লুইচ গেট সংলগ্ন ব্লকের ম্যানেজার অরবিন্দু অধিকারী, গোবিন্দ মন্দির সংলগ্ন ব্লকের ম্যানেজার সুবোধ বাড়ৈ, বড়মগড়া গ্রামের ইউপি সদস্য অজিত শিকারী, জলিরপাড় গ্রামের ব্লক ম্যানেজার লিটন ফকিরসহ অসংখ্য ব্লক ম্যানেজাররা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে অকেজো স্লুইচ গেটের কপাটটি বন্ধ থাকায় তারা খালে কখন জোয়ার আসবে সেই অপেক্ষায় থাকেন। তারা আরও বলেন, প্রতি ২৪ ঘন্টায় দুইবার খালে জোয়ার আসলেও ওই জোয়ারের পানি দিয়ে ব্লকের সকল জমিতে পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। স্লুইচ গেট বন্ধ থাকার বিষয়টি একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস ছালামকে জানানো সত্বেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
জলিরপাড় গ্রামের কৃষক উত্তম অধিকারী বলেন, ম্যানেজার অরবিন্দু অধিকারীর ব্লকে আমার চার একর জমি রয়েছে। ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। সঠিকভাবে ক্ষেতে পানি দিতে না পারায় ফসল নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি।
এ ব্যাপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক বিভাগ) নিউটন দে বলেন, যদিও স্লুইচ গেট মেরামতের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্তবিভাগের। তারপরেও বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।