আবাসিকে গ্যাসের দাম বাড়েনি
গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। তবে সাধারণ গ্রাহক ও পণ্য মূল্যের ওপর যেন কোনো প্রকার প্রভাব না পড়ে তার জন্য আবাসিক গ্রাহক ও সিএনজির দাম বাড়ানো হয়নি। মূল্য সমন্বয়ের কারণে শিল্প, ক্যাপটিভ ও কিছু বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম বেড়েছে।
গত বছরই বাংলাদেশ ৫২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির অনন্য মাইল ফলক অর্জন করেছে। অর্থাৎ গত একযুগে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে আমাদের শিল্পায়ন অতীতের সব সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। শিল্পায়ানকে ত্বরান্বিত করতে সরকারকে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করতে হচ্ছে। আবার একই সাথে একথাও স্মরণ রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের গ্যাস উৎপাদনও দিন দিন কমছে। আমাদের নিজস্ব খনিজসম্পদের প্রাচুর্য না থাকায় আমাদেরকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হয়, যা অত্যাধিক উচ্চমূল্যের। আমাদের রপ্তানি অব্যাহত রাখতে এবং ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে গেলে আমাদেরকে যেকোনো মূল্যেই হোক শিল্প-কলকারখানাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ অব্যাহত রাখতে হবে।
নিজস্ব গ্যাস ও অতি উচ্চমূল্যে আমদানি করা এলএনজি দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতে গেলে মূল্য সমন্বয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। এই মূল্য সমন্বয়ের আগে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে একাধিক বৈঠকের পরই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূল্য সমন্বয়ের। ব্যবসায়ী এবং শিল্প মালিকরা তাদের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে যেকোন মূল্যেই হোক নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চায়।