৪ শত পৃষ্ঠার ব্যাখ্যা দিয়েও ঠেকানো যায়নি আদানি গ্রুপের দরপতন!
ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপের অধীনে আছে, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রীন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশনের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ অনুযায়ী বিশ্বের তৃতীয় ধোনির অবস্থানে ছিলেন ভারতের এই শিল্পপতি।
তবে গেল ২৪ জানুয়ারি আদানি গ্রুপের প্রতারণা আর কর ফাঁকি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ।
প্রতিবেদনে বলা হয় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে আদানি গ্রুপ। আদানি গ্রুপের কারণে কোটি কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে ভারতীয় পুঁজিবাজারের বিভিন্ন কোম্পানির। আর এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই শেয়ার বাজারে মারাত্বক পতনের মুখে পড়ে যায় তারা। এক লাফে তৃতীয় ধোনির অবস্থান থেকে ৭ম ধনীর তালিকায় নেমে আসেন গৌতম আদানি।
মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ৪শ’ পৃষ্ঠার ব্যাখ্যা দেয়ার পরও ঠেকানো যায়নি আদানি গ্রুপের দরপতন। তিনদিনে ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি লোকসান হয়েছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির।
বিশ্বজুড়ে অব্যাহত আছে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির মূল্য হ্রাস। হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের পর আদানি গ্রুপের ৭টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৪ হাজার ৮শ’ কোটি ডলার। এর ফলে শঙ্কিত আদানির গ্রুপের এসব প্রতিষ্ঠানের এফপিও ইস্যুকারীরা।
এরইমধ্যে এফপিওর দামও কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। নতুন করে সাড়ে চার কোটি শেয়ার ছাড়া হলেও বিনিয়োগকারীরা ইস্যু করেছেন মাত্র, সাড়ে ৪ লাখ শেয়ার। সব মিলিয়ে ৬ হাজার ৬শ’ কোটি ডলার লোকসানে পড়েছে বহুজাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি।