স্ত্রী-সন্তানদের মরদেহের পাশে দুইদিন, ভাগ্যক্রমে বাঁচলেন স্বামী

স্ত্রী-সন্তানদের মরদেহের পাশে দুইদিন, ভাগ্যক্রমে বাঁচলেন স্বামী

সময় যত গড়াচ্ছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে অনেক মানুষ।চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হচ্ছে জীবিত কিংবা মৃত।স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়া।

ভূমিকম্পের হাজারো ছবি উঠে এসেছে ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরায়। উঠে এসেছে জীবিত উদ্ধারের চিত্রও।ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধারের বেশ কিছু ছবি নাড়া দিয়েছে বিশ্ববাসীকে।

 ঠিক তেমনি একটি ছবি ধরা পড়েছে রয়টার্সের ফটোগ্রাফার উমিত বেকতাসের ক্যামেরায়।ছবিতে দেখা যাচ্ছে আব্দুলআলিম মুয়াইনি নামের এক ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তানদের নিথর মরদেহের পাশে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আছেন। যেখানে উদ্ধারের আশায় হাত উঁচু করে নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে আছেন তিনি।স্ত্রী ও ২ সন্তান মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মুয়াইনি।

আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে জন্ম নেওয়া শিশুটি কেমন আছে, জানালেন চিকিৎসক

রয়টার্সের ওই ফটোগ্রাফার ছবির বর্ণনায় বলেন, হাতায়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে একজনের নিথর দেহ। পাশেই হাত উঁচু করে সাহায্য চেয়েছেন এক ব্যক্তি।

সোমবারের ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে তার স্ত্রী মারা গেছে। আর দেয়ালের স্ল্যাবে পা আটকে আছেন মুয়াইনি। জ্ঞান থাকলেও বাম চোখে আঘাত পাওয়ায় তা খুলতে পারছেন না তিনি। সেখান থেকে উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছেন মুয়াইনি।

মুয়াইনির দুই বন্ধু জানান, তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার পুরো শরীর ধুলায় আচ্ছাদিত ছিল। সে পানিশূণ্যতায় ভুগছে। তার চিকিৎসার প্রয়োজন। তারা জানান, তার পরিবারের কাউকেই বাঁচানো যায়নি।মাটিতে কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে তার স্ত্রী ও ২ সন্তানের মরদেহ।

আরও পড়ুন: যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ান বংশোদ্ভূত মুয়াইনি গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্কে এসে ইসরা নামে এক তার্কিশ নারীকে বিয়ে করেন। মাহসেন ও বিসিরা নামে তার দুই কন্যা সন্তান ছিল। এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।

সূত্র : রয়টার্স