সেতুতে উঠতে হয় সাঁকো বেয়ে
মোঃআরিফুজ্জামান খান রিয়াদ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।
তালতলীতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুতে উঠতে হয় নারিকেল গাছ ফেলে তৈরি সাঁকো বেয়ে।সেতুটির নির্মাণ কাজ কয়েক মাস আগে শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়নি। জানা গেছে, নামিশিপাড়া ও লাউপাড়া এলাকায় নিদ্রা নামক খালের ওপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪.২৭ মিটার প্রস্থ আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেসার্স সারা-প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই সেতু নির্মাণে কাজের চুক্তি হয়।২০২১ সালে পুরনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০২২ সালে সেতুটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনও দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বর্তমানে সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না।দুই পাড়ের শত শত মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে নৌকায় পার হতে গিয়ে ভিজতে হয়েছে।সম্প্রতি সংযোগ সড়কে একটি নারিকেল গাছ ফেলে সেতুতে উঠছেন পথচারীরা।সমতল থেকে প্রায় ৮ ফুট উঁচু সেতুতে ওঠানামা করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।এলাকার মি. মংচিন থান, রাজু তালুকদার, মংচান ও খলিলুর রহমান মাস্টারসহ স্থানীয়রা বলেন,সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় তাদের আশা ছিল জনভোগান্তি দূর হবে।
কিন্তু এখন তা উল্টো হচ্ছে।দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।নারিকেলের সিঁড়ি বেয়ে সেতুতে উঠতে গিয়ে অনেক সময় কোমলমতি শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।বয়স্ক মানুষ কারও সাহায্য ছাড়া সেতুতে উঠতে পারছেন না।
মেসার্স সারা-প্রিন্স এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃরিপন হোসেনকে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম বলেন,বর্ষা গেলে দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন করা হবে এবং কাজ শেষ না করা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বিল দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।