সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কিস্তি আদায় শুরু ১৭ আগস্ট
১৭ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কিস্তি আদায়। প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে গোপালগঞ্জ, পাবনাসহ আট জেলায়। পর্যায়ক্রমে সব জেলার ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা এর অন্তর্ভুক্ত হবেন। কিস্তি নেয়া হবে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার পেনশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
গত নির্বাচনি ইশতেহারে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রতিশ্রুতি দেয় আওয়ামী লীগ। সেটাই চালু হচ্ছে ১৭ আগস্ট। যারা চাঁদা দেবেন তারা ৬০ বছরের পর থেকে পাবেন পেনশন সুবিধা।
এরই মধ্যে আগ্রহীদের তালিকা করতে আট জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আপাতত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ পেনশন স্কিমের আওতায় থাকবেন না।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের জন্য সুরক্ষা, অতি দরিদ্রদের জন্য সমতা ও প্রবাসী নামে চার ধরনের কর্মসূচি চালু হচ্ছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমগুলো হলো- বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের জন্য সুরক্ষা, বিদেশে থাকাদের জন্য প্রবাসী এবং অতি দরিদ্রদের জন্য সমতা।
প্রগতি ও সুরক্ষা স্কিমে চাঁদার পরিমাণ ১ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রবাসীতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর সমতা স্কিমে ৫০০ টাকা। শুধু অস্বচ্ছলদের চাঁদায় ৫০ শতাংশ সহায়তা করবে সরকার। ব্যাংকের পাশাপাশি মোবাইলেও চাঁদা দেয়া যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন,পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেটা সেন্টারের সঙ্গে চুক্তি করেছে পেনশন কর্তৃপক্ষ।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এই স্কিমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সুফল পাবে সব নাগরিক।
আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫০ ভাগ ঋণ নেয়ার সুযোগ থাকছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়। পছন্দমত স্কিম পরিবর্তনও করা যাবে।