আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬
ঢাকার আশুলিয়ার শ্রীপুরে একটি টিনশেডের ঘরে বিস্ফোরণে দুই নারীসহ ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রান্না করার সময় গ্যাস লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ধানসোনা নতুননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাত আনুমানিক ২ টার দিকে অগ্নিদগ্ধদের আশুলিয়া থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন, পোশাককর্মী সাবিনা বেগম (৪০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মুদি দোকানদার মো. মহসিন হোসেন (২৭) ও তার মা কমেলা বেগম (৫০), মাটি কাটার ভেকু (এসকেভেটর) চালক মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), ব্রিটিশ টোবাকো কোম্পানির কর্মচারী মো. সাদিকুল ইসলাম (২৮) ও মুদি দোকানদার মো. হাশেম আলী (৪৫)।
হাসপাতালে নিয়ে আসা পোশাককর্মী সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, তারা ধানসোনা ইউনিয়নের নতুননগর এলাকার শফিকের সেমিপাকা টিনশেড বাড়িতে পাশাপাশি কয়েকটি ঘরে ভাড়া থাকেন। রাত ৮টার দিকে তিনি শ্রীপুর বাজারে তাঁর কাপড়ের দোকান থেকে বাসার কিছুটা দূরে পৌঁছানোর সময় বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। দৌঁড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন, তাদের বাসা ও আশপাশে আরও কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরবর্তীতে আশপাশের ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে কয়েকটি ঘর থেকে ওই ছয়জনকে বের করে আনা হয়। প্রথমে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
মোতালেব হোসেন আরও জানান, সেমিপাকা টিনশেড ঘরগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্নার কাজ করেন সবাই। তার ধারণা, গ্যাস লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল মধ্যরাতের ছয়জন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের শরীরে দগ্ধের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে, মো. সাদিকুল ইসলাম শতকরা ৫০ ভাগ, মো. হাসেম আলী শতকরা ৪৫ ভাগ, সাবিনা বেগম শতকরা ৫০ ভাগ, মো. নজরুল ইসলামের শতকরা ৪৫ ভাগ, মো. মহসিন শতকরা ১০ ভাগ এবং কমেলা বেগম শতকরা ২০ ভাগ তাদের সবাইকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।