শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে যুবকের আত্মহত্যা!
গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন (পশ্চিম পাশে) এলাকায় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৮ এপ্রিল) ইফতারের আগমুহূর্তে ওই এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২২)।
স্থানীয়রা জানান, শাকিল শনিবার ইফতারের আগমুহূর্তে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন আসছিল। তখন পেছন থেকে ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে বলে অনেকেই তাকে চিৎকার করে ডাকাডাকি করলেও শাকিল লাইন থেকে সরে না গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই শাকিল নিহত হন।
নিহতের স্বজনরা জানান, শাকিল প্রায় একমাস আগে প্রতিবেশী শাহিন মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শাকিলকে কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছিল না শারমিনের পরিবার। উল্টো শারমিনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। শনিবার সকালে শাকিলকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাকিল আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের বড় ভাই সৌরভ মিয়া জানান, বিয়ে নিয়ে কথা বলায় শনিবার সকালে আমাকে ও শাকিলকে মারধর করেছে শাকিলের শ্বশুর ও তার লোকজন। ওদের অত্যাচারেই আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান জানান, শনিবার বিকেলে সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, শনিবার ইফতারের আগ মূহুর্তে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয় আমরা কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।