শেখ হাসিনা যে মানবতার মা, তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে আরও প্রমাণিত হবে

শেখ হাসিনা যে মানবতার মা, তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে আরও প্রমাণিত হবে
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
শেখ হাসিনা যে মানবতার মা,তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে সেটা আরও একবার প্রমাণিত হবে বলে সাংবাদিকদের দেওয়া বক্তব্যে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন।
তিনি আরও বলেন,শেখ হাসিনা মানবতার মা,তিনি বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের জনগণের একমাত্র  অভিভাবক এই কারনেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন এটা সারাবিশ্বে এক দৃষ্টান্তমূলক।তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে তিনি ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হউক।এবং পোস্টের নিচে তিনি আরও লিখেন যে মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ করছি,এমনটা লিখে পোস্ট করেন যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্য ভাইরাল হয়ে পড়ে।
যে পোস্ট দেখে বিএনপির অসংখ্য পদধারী নেতা ও সমর্থকেরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রশংসা করেন এবং বলেন আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে বিএনপি জোট সরকারের আমলে এই আব্দুল মোতালেব হাওলাদার অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,ও বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দী জীবনযাপন করেছেন।এরপরেও তিনি আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও রাজনৈতিকভাবে কথা বলেছেন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে।
এদিকে গত শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন দাবি জানিয়ে তিনি একটি পোস্ট দেন। পোস্ট দেওয়ার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীরা ওই পোস্টের নিন্দা জানিয়েছেন।
এবিষয়ে আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা আমি বাংলাদেশের সার্বিক দিক বিবেচনা করে রাজনৈতিক কারণে লিখেছি,এখানে দোষের কিছু দেখছি না বলে আমি মনেকরি।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের( একাংশ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম ফারুক বলেন,পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জিয়া পরিবার সরাসরি জড়িত।বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে তিনি বিএনপি নেত্রীর জন্য যে আইন পরিবর্তন করে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যা সংগঠন বিরোধী বক্তব্যের শামিল। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া  উচিত।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান এবিষয়ে বলেন,এটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর দায় আওয়ামী লীগ নেবে না।