মায়ের মৃত্যুর জন্য বাবা ও চাচাকে দায়ী করলেন মেয়ে
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে আলেয়া (৫০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারী পোগলদিঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড় এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে প্রবাসী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। নিহত আলেয়া তিন সন্তানের জননী। তার বড় মেয়ে সুপ্তি (২৫), ছেলে আপন (১০) ও ৭ বছর বয়সী আরও একটি মেয়ে রয়েছে।
জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী শফিকুল ইসলাম ও দেবর শহিদুল ইসলামের শারীরিক নির্যাতন সহ্য করছিল আলেয়া। বিশেষ করে স্বামী শফিকুল ইসলাম প্রথম স্ত্রী রেখেই যখন কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করে তারপর থেকেই আলেয়া ও তার সন্তানদের ওপর দেবর শহিদুল ইসলামের অবহেলা অত্যাচার ও নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। সে মাঝেমধ্যেই তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিত এবং প্রতিনিয়তই অমানুষিক নির্যাতন করত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
নিহতের বড় মেয়ে সুপ্তি জানায়, তার বাবা ও চাচার অত্যাচারে প্রতিকার চেয়ে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহত আলেয়া বিচারের আশায় সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করার পর বাড়িতে এলে ওই দিন রাতেই রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরদিন সোমবার সকাল ১০টায় সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে তাকে ভর্তি করালে দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
সুপ্তি আরও জানায়, তার মায়ের মৃত্যুর জন্য বাবা ও চাচা শহিদুল ইসলাম দায়ী। তাদের অত্যাচার ও অমানুষিক নির্যাতনের কারণেই তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সুপ্তি বলে, আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, রোগীর স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আলেয়ার মৃত্যুর পূর্বে থানায় অভিযোগ করার বিষয়ে এসআই হান্নান বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।