বাবরের সেঞ্চুরিতে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটির পর ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করেন বাবর আজম। এতে প্রথমে ব্যাটিং করে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। পরে নিউজিল্যান্ডের রান তাড়ায় বল হাতে ঝড় তোলেন হারিস রউফ। এই ডানহাতি পেসারের আগ্রাসী মেজাজের বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে পাকিস্তান। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থেমে গেছে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে। এতে ৩৮ রানের জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৯ রান করেন রিজওয়ান-বাবর। তবে মাত্র ৩৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করে বিদায় নেন রিজওয়ান। ১১তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরির শিকার হন তিনি। এরপর দুই ওভার না পেরোতেই আরও তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এতে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
তবে পঞ্চম উইকেটে ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন বাবর। এতে ৪ উইকেটে ১৯২ রান করে স্বাগতিকরা। ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন বাবর। ৫৮ বলে ১১ চার ও তিন ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন। অন্য প্রান্তে ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার।
বোলিংয়ে কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন হেনরি। এছাড়া জিমি নিশাম ও রচিন রবিন্দ্র নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে এদিন খানিকটা লড়াইয়ের চেষ্টা করে নিউজিল্যান্ড। তবে দলের হয়ে কেউই করতে পারেননি ইনিংস করতে৷ স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মার্ক চাপম্যান খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। তাতে কিউইরা হারের ব্যবধান খানিকটা কমিয়ে আনতেই পেরেছে। শেষ পর্যন্ত সফরকারীরা থামে ১৫৪ রানে। ফলে, ৩৮ রানের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
টানা দ্বিতীয় জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন পেসার হারিস রউফ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গতিময় এই পেসার নেন ৪ উইকেট। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিতে খরচ করেছিলেন ১৮ রানে, এবার লেগেছে ২৭ রান।